আল কোরআন ও আল হাদিস
আল কোরআন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম: সূরা আন আম
মক্কায় অবতীর্ণ
আয়াত : ১৬৫; রুকূ : ২০
অষ্টম পারা
১৩৬. আর আল্লাহ যে সব শস্য ও পশু সৃষ্টি করেছেন, তারা (মুশরিকরা) এর একটি অংশ আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে থাকে। অতঃপর নিজেদের ধারণা মতে তারা বলে যে, ‘এ অংশ আল্লাহর জন্য এবং এ অংশ আমাদের দেবতাদের জন্য।’ কিন্তু যা তাদের দেবতাদের জন্য নির্ধারিত হয়ে থাকে, তা তো আল্লাহর কাছে পৌঁছতে পারে না, পক্ষান্তরে যা আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল তা তাদের শরীকদের কাছে পৌঁছে থাকে। কতো নিকৃষ্ট তাদের এ বিচার!
আল হাদিস
২৫ নং পরিচ্ছেদ
সৎ কাজের ঘাটতিতে ঈমানের ঘাটতি
৪৯। আবু সাঈদ খুদ্রী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলেন। অতঃপর মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে বললেন, হে মহিলা সম্প্রদায়! তোমরা বেশি-বেশি করে দান খয়রাত কর। কেননা, আমাকে তোমাদের অধিকাংশকে দোযখবাসী হিসেবে দেখানো হয়েছে। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল, এটা কেন? তিনি জবাবে বললেন, তোমরা বেশি বেশি অভিশাপ দিয়ে থাকো এবং স্বামীর অবাধ্যতা কর। আমি তোমাদের চেয়ে আর কাউকে জ্ঞানবুদ্ধি ও দীনদারীর ক্ষেত্রে অপূর্ণ দেখি না, অথচ এমতাবস্থায়ও তোমাদের কেউ কেউ বিচক্ষণ ব্যক্তিদের বুদ্ধি হরণ করে ফেলতে পার। তারা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি ও দীনদারীর ক্ষেত্রে কি কমতি রয়েছে? তিনি বললেন, স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য পুরুষের অর্ধেকের সমান নয় কি? তারা বললো, হ্যাঁ হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, এটাই তোমাদের জ্ঞানবুদ্ধির কমতি ও অপরিপক্বতার নিদর্শন। আর হায়েযের সময় তোমরা কেউ সালাত আদায় করতে ও রোযা রাখতে পার না। এটা কি ঠিক নয়? তারা বললো, হ্যাঁ, একথা ঠিক। তিনি বললেন, এটাই তোমাদের দীনদারীর স্বল্পতার নিদর্শন।
(বুখারী-কিতাবুল হায়েজ)
পাঠকের মন্তব্য: (পাঠকের কোন মন্তব্যের জন্য কর্তৃপক্ষ কোন ক্রমে দায়ী নয়)