English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়াতে হবে: ভয়াবহ খাদ্যসংকটের আশঙ্কা

- Advertisements -

বিশ্বে খাদ্যশস্যের অন্যতম ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর আরোপিত হয়েছে পাশ্চাত্যের নানামুখী নিষেধাজ্ঞা। আর তার প্রভাব পড়ছে সারা দুনিয়ার অর্থনীতিতে। বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহন খরচ।

এতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও। বাংলাদেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। আবার যুদ্ধের কারণে দুটি দেশেই খাদ্যশস্যের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট খরা ও বন্যায় সারা পৃথিবীতেই ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম সহসাই কমবে বলে মনে হয় না। আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থার মতে, ২০২৩ সাল বড় ধরনের সংকটের বছর হতে পারে। অনেক অঞ্চলে তা দুর্ভিক্ষ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ কি প্রস্তুত?
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, গত আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৫২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৯.১০ শতাংশে। এমন মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। কারণ তাদের আয় বাড়েনি, কিন্তু ব্যয় বেড়ে গেছে।
ফলে অনেকেই সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই মূল্যস্ফীতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকেই সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে।
মূল্যস্ফীতি শুধু স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশেই নয়, উন্নত দেশগুলোতেও বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের মতো দেশেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি। কিছু কিছু উন্নত দেশে তা আরো বেশি। তবে বেশি খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই। কিছু দেশে তা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মতো।
আবার শ্রীলঙ্কার মতো কিছু দেশে তা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ধসের কারণ হয়েছে। আফ্রিকার কিছু দেশে এখনই দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই আসন্ন বৈশ্বিক সংকটকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের কৃষি খাতের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। তিনি খাদ্য উৎপাদনে সবাইকে সাধ্যমতো অবদান রাখারও আহ্বান জানান।

পৃথিবীতে যে ভয়াবহ খাদ্যসংকট প্রায় অনিবার্য তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি বাজারব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন