English

24 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

শুরু হচ্ছে টিপু আলম মিলনের লেখা ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’

- Advertisements -

বৈশাখী টেলিভিশনে আগামীকাল ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নতুন দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’। প্রচার হবে প্রতি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার রাত ৮:৪০ মিনিটে ।

গত ঈদ উল ফিতর এবং ঈদুল আযহায় প্রচারিত সাত পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’ নাটকের অভাবনীয় সাফল্যের পরই নির্মিত হয়েছে দীর্ঘ ধারাবাহিক হাবুর স্কলারশিপ। নাটক দু’টি, দুই ঈদেই ইউটিউবে প্রথম হয় এবং দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করে। দর্শকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিক আকারে নাটকটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘মিড এন্টারপ্রাইজ’। আর এ নাটকের মাধ্যমেই জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত এই প্রথম কোনো দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন।

বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের গল্পে, আহসান আলমগীরের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন আল হাজেন। রাশেদ সীমান্ত ছাড়াও গত দুই সিজনে অভিনয় করেন, তানজিকা আমিন, অলিউল হক রুমি, শফিক খান দিলু, হায়দার আলী, সাইকা আহমেদসহ অনেকে। এবার ধারাবাহিকে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন অহনা রহমান, মৌসুমী হামিদ, নীলা ইসলামসহ এক ঝাঁক তারকা।

ইতিপূর্বে নাটক দুটি বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ায় চিত্রায়িত হয়। নাটকের গল্পে দেখা যায় গ্রামের অত্যন্ত সহজ সরল একটি ছেলে হাবু স্কলারশিপ পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ালেখা করতে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ছেলেটি ফার্স্ট হয়। হাবু অস্ট্রেলিয়া যে পাঁচ বছর পড়ালেখা করে সেই সময় হাবুর যে কোন বিপদে আপদে পাশে এসে দাঁড়ায় তারই আরেক বাংলাদেশী সহপাঠী মারজান। এনএসডব্লিউ ইউনিভার্সিটি হাবুকে অফার করে সে যেন অস্ট্রেলিায়য় থেকে ইউনিভার্সিটিতে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে জয়েন করেন কিন্তু হাবু জানায় সে তার মেধা তার দেশের জন্যই কাজে লাগাতে চায়। সবকিছু উপেক্ষা করে হাবু দেশে ফিরে আসেন। আগের পর্বগুলো এভাবেই শেষ হয়। ঠিক এখান থেকেই শুরু- ‘হাবুর স্কলারশিপ’ ধারাবাহিক নাটকের গল্প। নানা ঘাত প্রতিঘাত আর প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী।
নাটকের গল্পকার বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, হাবুর স্কলারশিপ নাটকের গল্পটি মূলত: মেধা পাচারকে কেন্দ্র করে। আমরা প্রতিনিয়তই দেখি শত শত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে পড়তে গিয়ে আর ফিরে আসে না।

এভাবেই দেশটি মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। তারা যদি ফিরে এসে নিজের মেধাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতো তাহলে দেশ অনেক উপকৃত হতো। কিন্তু তা হচ্ছে না। মেধাবীরা অনেক সুযোগ সুবিধার লোভে প্রবাসেই থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে তাড়িত করে। মূলত: এমন ভাবনা থেকেই হাবুর স্কলারশিপ নাটকের গল্প। গল্পের নায়ক হাবিবুর রহমান হাবু। বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার বাস। সে অনেক মেধাবী। মেধার কারণেই সে বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যায়। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সে পড়ে সেখানকার সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে ভালো রেজাল্ট করে, টপার হয়। তাকে নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। তার চারপাশে তখন সোনালি স্বপ্নের হাতছানি। কার আগে কে তাকে তাদের করে নেবে এ নিয়ে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা। হাবু চাইলেই তার জীবনকে সে সুখের স্বর্গ বানাতে পারে। কিন্তু না! হাবু সবকিছুকে উপেক্ষা করে নিজের মেধাকে দেশের কাজে লাগানোর জন্য ফিরে আসে।

দেশের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করে। হাবুর মতো সব মেধাবী যাতে দেশে ফিরে দেশপ্রেমে নিজেদের নিয়োজিত করে, দেশকে ভালোবাসে, এ নাটকের মাধ্যমে সে ম্যাসেজটাই দিতে চেয়েছি আমি। এই ধারাবাহিকটিতে শিক্ষনীয় অনেক কিছুই আছে। নিজ এলাকার উন্নয়নে সাধারণ মানুষকে নিয়ে হাবু যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে তেমনভাবে যদি সবাই এগিয়ে আসত তাহলে আমরা এক মানবিক দেশ পেতাম। এ নাটকটি দেখে মানুষ যদি নিজেকে পরিবর্তন করে তাহলে আমাদের প্রচেষ্টা স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করবো।

টিপু আলম মিলন আরো বলেন, গত দুই ঈদে সাত পর্ব সাত পর্ব করে নাটকটি বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত হয়। নাটক দুটি নিয়ে দর্শকদের উচ্ছাস এবং ভালোবাসা দেখে আমি বিস্মিত! দর্শকদের কথা চিন্তা করেই হাবুর স্কলারশিপ নাটকটি দীর্ঘ ধারাবাহিক করার সিদ্ধান্ত নিই। পুরনোদের সাথে নতুন আরো অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী যুক্ত হয়েছে। নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন