English

23 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

- Advertisements -

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিনের বিরামহীন বৃষ্টিতে ভোলায় পাকা-আধাপাকা আমন ধান এবং রবি শস্যসহ সমস্ত ফসলের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে কেবল সদর উপজেলাতেই ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ফসল হারানোর আশঙ্কায় কৃষকরা এখন দিশেহারা। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে রবিবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত একটানা দুইদিন বিরামহীন বৃষ্টি হয়েছে ভোলায়। এতে দ্বীপজেলা ভোলার সমস্ত ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। অসময়ে ক্ষেতে জমে যাওয়া পানিতে গম, আলু-খেসারিসহ প্রায় সমস্ত ফসলই নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপরদিকে পাকা আমন ধানের প্রায় ৪০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। ক্ষেতে থাকা বাকি ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের কৃষক মো. মহসিন জানান, তিনি ধারদেনা করে প্রায় এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। বীজ থেকে মাত্র চারা গজানো শুরু করেছে। এমন সময় বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় তার প্রায় লক্ষাধিক টাকা লোকসান হবে।

একই এলাকার কৃষক আলমগীর জানান, তিনি দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে আলু চাষ করছেন। সব এখন পানির নিচে। সরকারি সহায়তা না পেলে দেনার দায়ে ঢাকা পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না তার। কৃষি অফিসের তথ্য মতে, একই ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন সদর উপজেলার প্রায় ২৭ হাজার কৃষক।

সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুর আলম জানান, তারা মাঠে গিয়ে কৃষক এবং ফসলের খোঁজখবর নিচ্ছেন। পাশাপাশি ক্ষেতের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ফসলের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ইলিশা ও রাজাপুর এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গম, আলু, খেসারিসহ রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাঠ থেকে দ্রুত পানি সরিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করছেন কোনো কোনো কৃষক।

ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন জানান, ভোলা সদর উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল এখন পানির নিচে তলিয়ে আছে। এতে ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। দুই-একদিনের মধ্যে মাঠ থেকে পানি সরে গেলে ফসলের ক্ষতি কিছুটা কম হবে। তবে ৪/৫ দিন পর ক্ষতির প্রকৃত তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ভোলা সদর উপজেলায় ১৫৫০ হেক্টর জমিতে খেসারি, ৪০০ হেক্টর সরিষা, ১০০ হেক্টর করে গম ও আলু, ৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি এবং প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন