English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

চালু করতে ব্যবস্থা নিন: ৩৪ কোটি টাকার আইএইচটি

- Advertisements -

দেশের বেশির ভাগ মানুষের বসবাস গ্রামাঞ্চলে। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো আধুনিক করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে লোকবল নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনো সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভরশীল হলেও এই খাতটির অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ার মতো। সারা দেশের অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকের করুণ দশা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অবস্থাও ভালো নেই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে রোগীদের রোগ পরীক্ষার জন্য ছুটতে হয় বেসরকারি ক্লিনিকে। সরকারি সংস্থার গবেষণায়ই দেখা যায়, সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা ৯৩ শতাংশ রোগী হাসপাতাল থেকে ওষুধ পায় না। তাদের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ছুটতে হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। ফলে ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি হচ্ছে।

দেশে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধীনে সরকারি পর্যায়ে ডিপ্লোমা ও বিএসসি কোর্স চালু আছে। বিভিন্ন জেলায় গড়ে উঠেছে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি। এমনই একটি প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের অবকাঠামো গড়ে উঠেছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে। চার বছর আগে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন একর জমিতে নির্মিত হয় ছয়টি বহুতল ভবন—একাডেমিক ভবন, ছাত্রী হোস্টেল, অফিসার্স কোয়ার্টার, অধ্যক্ষ ভবন, ছাত্র হোস্টেল ও কর্মচারী কোয়ার্টার। ঠিকাদারের কাছ থেকে চার বছর আগেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এটি বুঝে নিলেও এখন পর্যন্ত তা চালু করা হয়নি।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বিশাল ভবনগুলো দেখভাল পর্যন্ত করা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে ভবনগুলো নষ্ট হচ্ছে। দুই বছর আগে আগুনে পুড়ে গেছে এর বিদ্যুতের সাবস্টেশন। নষ্ট হচ্ছে এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণসহ নানা যন্ত্রপাতি ও আসবাব। এখন সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকা অন্ধকার। রাতে এই ক্যাম্পাসজুড়ে ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নজরদারির অভাবে সন্ধ্যা নামলেই বাড়তে থাকে মাদকসেবীদের আনাগোনা। ভবনের বিভিন্ন কক্ষে খেলার তাস, মাদক সেবনের বিভিন্ন উপকরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে টেকনোলজিস্ট সংকট কাটাতে এ রকম প্রতিষ্ঠান চালুর বিকল্প নেই। কিন্তু শুধু জনবলের অভাবে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করা যায়নি, এটা কি মেনে নেওয়া যায়? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি চালু করতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন