English

24 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

নববধূ বললেন, আমার কাছে তিন-চারটে বিয়ে কোনো ব্যাপারই না

- Advertisements -

অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে ভালোবেসে প্রথম সংসার শুরু করেছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। ২০১০ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। তাদের সাড়ে সাত বছরের সংসার ছিল। এরপর পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাঞ্চন। গত ১০ জানুয়ারি ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা।

দ্বিতীয় সংসার ভাঙার এক মাসের মাথায় তৃতীয় বিয়ে করেন ৫৩ বছর বয়সী কাঞ্চন। কনের নাম শ্রীময়ী চট্টরাজ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন কাঞ্চন। ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীর এটি প্রথম বিয়ে। মূলত, পিংকির সঙ্গে সংসার চলাকালীন কাঞ্চনের জীবনে শ্রীময়ীর আগমন ঘটে। পরকীয়ার অভিযোগ, অসম বয়স— নিয়ে দারুণভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। বিয়ের পর এ সমালোচনার আগুন আরো ছড়িয়ে পড়েছে।

অসম বয়স, কাঞ্চনের একাধিক বিয়ে, নতুন সংসার— এসব নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শ্রীময়ী। কাঞ্চনের একাধিক বিয়ে নিয়ে শ্রীময়ী বলেন, ‘সমাজের হয়তো খুব খিল্লি করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু যখন কোনো মানুষ সম্পর্ক গড়ে, তখন তো ভাঙার জন্য করে না। সবাই নিজের সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে চায়। কোনো সম্পর্ক টিকছে না মানেই যে তারা খারাপ তা নয়, হয়তো অনেককিছু ভেবেই তারা বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানুষের দুই-তিনটে বিয়ে থাকতেই পারে। আমি বা আমার পরিবার অতীত নিয়ে চর্চা করতে পছন্দ করি না। এটা আমার সঙ্গেও হতে পারত। মানুষটা তো তুচ্ছ নয়। নতুনভাবে শুরু করেছি। আমার কাছে তৃতীয়-চতুর্থ বিয়ে কোনো ব্যাপারই না।’

কাঞ্চনের সঙ্গে শ্রীময়ীর বয়সের ব্যবধান অনেক। এ বিষয়ে শ্রীময়ী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই ম্যাচিওর রিলেশনশিপে বিশ্বাসী। সিক্স প্যাক, ফোর প্যাক বা চুলে স্পাইক করা কারো সঙ্গে সম্পর্ক করতে চাইনি। আসলে বয়সের ব্যবধানে নিজেদের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া থাকে। তবে পরিবারের ক্ষেত্রে এটা নিয়ে ভাবনা খুব স্বাভাবিক। এখন হয়তো কম বয়স বলে বুঝতে পারছি না। আগামীদিনে হয়তো বুঝতে পারব। তবে এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই।’

কাঞ্চনকে বিয়ে করেও শ্রীময়ীর আক্ষেপ রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার একটাই আক্ষেপ, ওকে যদি আরো একটু আগে পেতাম। জীবনটা অনেকখানি উপভোগ করতে পারতাম। আর যদি ওর বাড়িতে একজন গার্ডিয়ান থাকত। আমি বাড়িতে ঠাকুমা-দাদু সবাইকে দেখে বড় হয়েছি। কিন্তু ও একেবারেই একা। দাদা-বউদি-দিদি সবাই আছে। কিন্তু মা-বাবার জায়গাটা তো শ্রেষ্ঠ, তাই শ্বশুর-শাশুড়িকে খুব মিস করছি।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন