বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও যুক্তফ্রন্টের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম জানিয়েছেন নবগঠিত জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’ আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’। এ জোটে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমি মনে করি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি আসছে না। না আসার কারণে আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমি কি যা আছে তার মধ্যে অংশ নেব, নাকি সবকিছু থেকে বিরত থাকব। আমি প্রথম বিকল্পটা বেছে নিয়েছি।’
এ সময় তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ১০০টি আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছেন।
সৈয়দ ইবরাহিম মনে করেন- নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার তারিখ ৩০ নভেম্বর থেকে পেছানো হতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের ভোটগ্রহণসহ অন্যান্য তারিখও পেছানো হতে পারে বলে তার ধারণা।
জোট গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জোটের দরজা-জানালা সব সময় খোলা আছে। কিন্তু আমরা তো মাইক বাজিয়ে, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলতে পারব না যে- আমরা একটা জোট করতে চাই, কে কে আসবা আসো, বাসের টিকিট নাও। এটা সম্ভব না।’
তিনি জানান, এই জোট যেন গঠিত না হয় তার জন্য অনেক ব্যক্তি আবেদন করেছেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপির এক দফা আন্দোলনের সঙ্গে তারাও যুক্ত ছিল। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পরেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলমান পদ্ধতিতে এ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।