English

28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই: নতুন শ্রমবাজার নিয়ে শঙ্কা

- Advertisements -
যেকোনো দেশে মানুষই সম্পদ। মানুষের শ্রমে-ঘামে-মেধায়-পরিকল্পনায় একটি দেশ বা জাতির অগ্রগতি নিশ্চিত হয়। দেশের অভ্যন্তরে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কারণ যথাযথ রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য পেলে একজন দক্ষ-প্রশিক্ষিত মানুষ আত্মকর্মসংস্থানের পথ নিজেই তৈরি করে নিতে পারে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন তরুণ জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণ কর্মক্ষম শক্তিকে কাজে লাগানোই দেশের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ; যদিও ইউএনডিপির মতে, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিডিপির প্রবৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিকভাবে বহুদূর এগিয়ে যাবে।
প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, পর্যাপ্তসংখ্যক দক্ষ শ্রমিক তৈরি না হওয়ায় চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী পাঠানো হলেও তার প্রায় অর্ধেকই অদক্ষ। সেই তুলনায় দক্ষ, আধাদক্ষ ও পেশাদার কর্মীর সংখ্যা অনেক কম।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে ঠিকমতো কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ব্যবস্থা না করতে পারায় দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে না। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, চলতি বছর ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন ১২ লাখ ৪৮ হাজার কর্মী।
এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ৮৪২ জন অদক্ষ। বাংলাদেশ থেকে ১৬৮টি দেশে কর্মী গিয়ে থাকেন। বিএমইটির তথ্য মতে, চলতি বছরের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া—এই দুই শ্রমবাজার মিলিয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মী গেছেন।
এই দুটি শ্রমবাজার ছাড়া ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সিঙ্গাপুর ও কুয়েতের শ্রমবাজারে প্রায় ২৫ শতাংশ কর্মী গেছেন। এই শ্রমবাজারগুলো বাদে ১৬০টি শ্রমবাজারে ১ শতাংশ কর্মীও যাননি।
কারণ ওই শ্রমবাজারগুলোতে দক্ষতার পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর জন্য যে প্রস্তুতি প্রয়োজন, তাতে ঘাটতি আছে। এ ছাড়া এখানে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তা পর্যাপ্ত নয়।
জনশক্তি রপ্তানি আমাদের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে।
এই জনশক্তির পাঠানো অর্থই রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় নামে পরিচিত। অর্থনীতিতে এবং সমাজে প্রবাস আয়ের ভূমিকা সম্পর্কে আমরা সবাই অবহিত।
মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ। এসব দেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির পরিমাণ খুবই কম। বর্তমান সময়ে দক্ষতার বিকল্প নেই। দক্ষ জনশক্তির রপ্তানি বাড়াতে পারলে রেমিট্যান্সও বাড়বে, তাতে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাতটি আরো শক্তিশালী হবে। অর্থনীতিতে এবং সমাজে রেমিট্যান্স ভালো ভূমিকা রাখে।
আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বাস্তবতায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা তুলনামূলকভাবে অদক্ষ। অনেক পেশায় আমাদের কর্মীরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দক্ষতা অর্জন করতে পারেননি।
যেসব দেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ আছে, সেসব দেশে জনশক্তি পাঠানোর জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন