English

28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

যথাযথ ব্যবস্থা নিন: অগ্নিকাণ্ড ঘটছেই

- Advertisements -
একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। মূল্যবান প্রাণহানি হচ্ছে। নিমতলী থেকে বঙ্গবাজার, সিদ্দিকবাজার, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা, রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল ১২৪ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার বনেদি এলাকা চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। গত বছর এপ্রিলে আগুন লাগে রাজধানীর বঙ্গবাজারে। পুড়ে যায় কয়েক হাজার ব্যবসায়ীর স্বপ্ন।
২০২৩ সালের ৫ মার্চ মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় তিনতলা একটি ভবন বিস্ফোরণে আংশিক ধসে পড়ে। গত বছর ৭ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের একটি সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে।
২০১২ সালে তাজরীন গার্মেন্টসের অগ্নিকাণ্ড, ২০২০ সালে নারায়ণগঞ্জ মসজিদে গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণ, ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ফ্যাক্টরির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আমাদের স্মৃতি থেকে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো একেবারেই মুছে ফেলা যাচ্ছে না।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এক দিনে তিন আগুনের ঘটনায় পুড়েছে কারখানা, বস্তি ও বাজার। গত রবিবার রাজধানীর মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি মাঠের পাশে গোডাউন বস্তিতে আগুন লেগে ১৪০টির মতো ঘর পুড়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকার গাউছিয়া কাঁচাবাজারে আগুন লেগে শতাধিক দোকানের মালপত্র পুড়েছে। গত শনিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় টিকে গ্রুপের সুপারবোর্ড কারখানায় গত রবিবার আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত শনিবার ভোরে পুরান ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগের একটি কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মী জানিয়েছেন, চকবাজারে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই অপরিকল্পিতভাবে স্টক আকারে কেমিক্যাল এবং অন্য দ্রব্যাদি স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
এই আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ একটি অবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
এখানে বিদ্যুতের দুটি ট্রান্সফরমার রয়েছে। এগুলো যদি বিস্ফোরণ হতো, তাহলে ভয়ানক অবস্থা তৈরি হতে পারত।
আমরা চাই না, এ ধরনের কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটুক। তাই যেসব কারণে আগুন লাগে, তা ভালোভাবে নজরদারি করতে হবে। সাধারণত বড় আগুন লাগার অনেক কারণ আছে।
বিশেষ করে একটি ভবনের নকশা অগ্নিনিরাপত্তা মেনে করা হয়েছে কি না, আগুন নেভানোর মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কি না, সেই সঙ্গে কেমিক্যাল মজুদ বা কারখানার লাইসেন্স দেওয়ার সময় পর্যাপ্ত নজরদারি ছিল কি না, সেগুলো নিয়মিত তদারকি করার নিয়ম সরকারি সংস্থাগুলোর। তাদের সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগে আমাদের ভেবে দেখতে হবে, বাণিজ্যের কাছে জীবন যেন মূল্যহীন হয়ে না পড়ে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন