English

38 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

শিডিউল লোডশেডিংয়ে মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় সমস্যা হবে না

- Advertisements -

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার ঘোষিতে এক-দুই ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে মোবাইল-ইন্টারনেট সেবা আপাতত বিঘ্নিত হচ্ছে না। তবে লোডশেডিং বাড়লে মোবাইল অপারেটর ও ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মোবাইল অপারেটররা বলছেন, ইতোমধ্যে বৃহত্তর ময়মনিসংহ অঞ্চলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। এ কারণে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সেবা দিতে সমস্যাও হচ্ছে।

গত ১৮ জুলাই (সোমবার) সরকারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এলাকাভিক্তি লোডশেডিং ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর দিন মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কার্যক্রম চালছে।

দেশের বেসরকারি মোবাইল সেবাদারকারী কোম্পানিগুলো বলছে, এক-দুই ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে মোবাইল সেবা দিতে আপাতত কোনো সমস্যা হবে না। কারণ মোবাইল অপারেটেরগুলোর বিটিএস টাওয়ারের ব্যাকআপ ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। তবে বেশি লোডশেডিং হলে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা পেতে সমস্যা হবে। পাশাপাশি ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়বে।

এ বিষয়ে রবি আজিয়াটার জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়, আমাদের প্রতিটি বেইজ ট্রান্সসেইভার স্টেশন (বিটিএস) বা মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারে ব্যাকআপ ক্ষমতা ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা। লোডশেডিংয়ের যে শিডিউল সরকার ঘোষণা করেছে তাতে গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য আমাদের যা প্রস্তুতি রয়েছে, তাতে দিনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে প্রয়োজন মেটানো যাবে, কিন্তু এর চেয়ে বেশি হলেই সমস্যা হবে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলালিকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশেই ব্যাকআপের জন্য আমাদের ব্যাটারি ও জেনারেটর থাকে। সেখান থেকে এক-দুই ঘণ্টা ব্যাকআপ ম্যানেজ করা যায়। এর বেশি যদি হয়ে যায়, সেক্ষত্রে সমস্যা হয়। এটা শুধু টেলিকমের ক্ষেত্রে কাজ করে।
তিনি বলেন, গত এক থেকে দেড় মাস ধরে বৃহত্তম ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুৎ থাকছে না। আমরা ব্যাকআপ দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ফলে গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক কম পাচ্ছেন। এ অঞ্চলের জন্য নেটওয়ার্ক ধরে রাখা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, ‘সরকার মাত্রই লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। পরিকল্পনাটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হয় সেজন্য আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। টেলিকমকে যেহেতু জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাই আমরা আশা করি এ খাত প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে।

ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিষয়ে বাড্ডা এলাকায় তিন হাজার গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া প্রতিষ্ঠান আর সম্রাটের মালিক মোহাম্মদ রায়হান আহমেদ বলেন, লোডশেডিং এক দুই ঘণ্টা হলে ইন্টারনেট সেবা দিতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আমাদের কাছে ব্যাকআপ হিসেবে ইউপিএস ব্যাটারি রয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব এলাকায় অপটিক্যাল ফাইভার কানেকেশন দেওয়া হয়েছে, সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে যদি সৌর বিদুৎ থাকে তবে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে।

সেগুন বাগিচা এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিফাই কোর লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার মহসিন আহসান বলেন, বেশিক্ষণ লোডশেডিং হলে ইন্টারনেট সেবায় সমস্যা হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এলাকাভিত্তিক দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ে ফলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের অন্যতম কাঁচামাল বিদ্যুৎ। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দিতে সারাদেশে লক্ষাধিক বিটিএস টাওয়ার রয়েছে যা বিদ্যুৎ দিয়ে পরিচালিত। তাছাড়া প্রত্যেকটি অপারেটরের জোনভিত্তিক অপারেশন কেন্দ্র রয়েছে যেখানে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এমনকি আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর অপারেশন কেন্দ্রগুলোও বিদ্যুৎ দিয়ে পরিচালিত হয়। লোডশেডিং করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা এখন পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বা বিটিআরসির সঙ্গে ইকো সিস্টেম গড়ে তোলার কার্যক্রম লক্ষ্য করিনি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন