English

31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

সংগীতকে হারাম বলায় আফগান নেতাকে গায়ক আদনান সামির চ্যালেঞ্জ

- Advertisements -

আফগানিস্তানের দখল এখন তালেবানের হাতে। তারাই শাসন করবে দেশটি। দেশটির নাগরিকেরা মনে করছেন তালেবানের কট্টর শাসনের মুখে চ্যালেঞ্জে পড়ে যাবে দেশটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা৷ শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের লোকেরাও আছেন আতঙ্কে।

সেই আতঙ্কের মধ্যেই ঘোষণা এলো আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে গান বাজনা। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তালেবানদের শাসন চলাকালীন আফগানিস্তানে সংগীতের অনুমোদন থাকবে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান তিনি।

Advertisements

এ তালেবান নেতা বলেন, ‘ইসলামে সংগীত নিষিদ্ধ। আমরাও চাই না। আমরা চাই জোর করে কিছু চাপানোর আগেই মানুষ নিজেরাই সংগীত এড়িয়ে চলতে শুরু করবে।’

তার এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের একটি নিউজ শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধেয় জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি এটা দেখান যে পবিত্র কোরানের কোথায় উল্লেখ আছে সংগীত হারাম বা ইসলাম পরিপন্থি!

Advertisements

এটাও আমাকে দেখান যে কোনো একটা হাদীস যেখানে মহানবী মুহাম্মাদ (স.) এমন কিছু উল্লেখ করেছেন।’

তার এই পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। নজর কেড়েছে নেটবাসীদের। প্রতিক্রিয়া এসেছে মিশ্র। অনেকে আদনান সামির পক্ষে মত প্রকাশ করছেন। অনেকে আবার আদনান সামির ইসলামিক জ্ঞান ও তার জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনে সংগীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আইন অমান্যকারীদের ভয়াবহ শাস্তির মুখে পড়তে হত। এরপর তালেবান শাসনের অবসান ঘটলে দেশটিতে ব্যাপক হারে সংগীত চর্চার প্রসার ঘটে। গড়ে উঠে জাতীয় সংগীত প্রতিষ্ঠানও। পুরুষদের পাশাপাশি ব্যাপক হারে নারীরাও অংশ নিতে থাকেন সংগীতে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন