English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

সন্ত্রাস দমনে কঠোর হোন: জাতীয় নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে

- Advertisements -
আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাত্র মাসখানেক সময় বাকি। নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ৩০টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দুই হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। প্রাথমিক বাছাইয়ে বেশ কিছু মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তাঁদের অনেকেই আপিল করবেন। কিন্তু এরই মধ্যে সারা দেশে বেশ ভালো রকম নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও কোনো প্রার্থীর পক্ষে শোডাউন-প্রচারণা করতে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে শোকজও করা হচ্ছে।
পাশাপাশি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ইসি ৩০০ আসনের রিটার্নিং অফিসারদের গত রবিবার বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে। এর মধ্যে আছে, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করে তাদের গ্রেপ্তার করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে।
নাগরিক জীবনে এসব কর্মসূচির খুব একটা প্রভাব না থাকলেও প্রায় প্রতি রাতেই কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। সেই আগুনে পুড়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচন পর্যন্তই এ ধরনের নাশকতা চলতে পারে। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
মাগুরা-১ আসনে গোলাম মোরশেদ টুকু (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা তত বাড়তে পারে। বিএনপি বলছে, ‘প্রহসনের নির্বাচন’ হতে দেওয়া হবে না। ২০১৪ সালেও তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল। আর সে কারণে ব্যাপক সহিংসতাও হয়েছিল। কয়েক শ মানুষ হতাহত হয়েছিল। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরেও হামলা হয়েছিল। এবারও তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা হবে খুবই দুঃখজনক।
আমাদের নির্বাচনের সঙ্গে সহিংসতার একটি দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও শতাধিক মানুষ নিহত এবং কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছিল। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রেরও অনেক ব্যবহার হয়েছিল। এবার যেন তেমনটি না ঘটে সে জন্য আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
আর এমন একটি পরিস্থিতিরই অপেক্ষায় থাকে জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তেমন কিছু আলামত দেখতে পেয়েছে। বেশ কয়েকজন জঙ্গি-সন্ত্রাসীকে আটকও করা হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতেও ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশগুলো অত্যন্ত সময়োপযোগী। আগে থেকেই সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সারা দেশে একযোগে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোরদার উদ্যোগ নিতে হবে।
শুরু থেকেই সন্ত্রাসের যেকোনো ঘটনা কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে। সারা দেশে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক অনেক বেশি সক্রিয় রাখতে হবে। আমরা চাই, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক। দেশে ও বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন