English

26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি: এবার লাগাম টানতে হবে

- Advertisements -

সরকারি দপ্তরের ঘুষ-দুর্নীতি এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয়। কেরানি থেকে শুরু করে শীর্ষ কর্মকর্তা অনেকেই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। অবৈধভাবে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের পরও তাঁদের লোভ কমে না। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অনেক কর্মকর্তাই সরকারি গাড়ির জ্বালানি বাবদ ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমন অভিযোগ রয়েছে ‘ক্ষমতাধর’ কিছু সচিবের বিরুদ্ধেও। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বারবার চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হলেও তা কোনো কাজেই আসছে না।
সম্প্রতি বিষয়টি উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকেও সতর্ক করা হয়েছে; কিন্তু তাতেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এমন অনিয়মে এ পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো নজির তৈরি হয়নি।
‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়িসেবা নগদায়ন নীতিমালা’র আওতায় কর্মকর্তারা সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি পান। সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে একজন কর্মকর্তা ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত কিস্তি দিলেই গাড়িটি ব্যক্তিগত হয়ে যায়। নীতিমালা অনুযায়ী সেসব কর্মকর্তা প্রতি মাসে ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য সরকারি খরচের অর্ধেক অর্থাৎ ২৫ হাজার টাকা করে নেবেন; কিন্তু অনেক সচিব বিষয়টি জানার পরও সরকারি কোষাগার থেকে গাড়ির খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকার বদলে ৫০ হাজার টাকাই তুলে নিচ্ছেন।
আবার অনেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত গাড়ি বসিয়ে রেখে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পরিবহন পুলের গাড়িতে চড়েন; কিন্তু মাস শেষে ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ৫০ হাজার টাকা ঠিকই তুলে নেন। নৈতিকতাবর্জিত এই কর্মকর্তা অবৈধ উপার্জনের কোনো লোভই সংবরণ করতে পারবেন না, তাতে রাষ্ট্রের যত ক্ষতি হয় হোক।
দুদকের তথ্য মতে, প্রতিবছর জিডিপির ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হয় দুর্নীতির কারণে। টিআইবি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা যায়, ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি।
গত বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, রাজনীতিকরা নন, বরং সরকারি কর্মচারীরাই এখন বিদেশে বেশি অর্থপাচার করেন।
রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের শীর্ষপর্যায়েই যদি এত অনিয়ম-দুর্নীতি থাকে, তাহলে রাষ্ট্রীয় স্বার্থের হেফাজত করবে কে? রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে জড়িতদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এবার অনিয়ম-দুর্নীতির লাগাম টানতে হবে। প্রশাসনের দুর্নীতি রোধে দুদকসহ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী সব সংস্থাকে কাজে লাগাতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন