আরেক সমস্যা বিজ্ঞাপনের আধিক্য: তৌকীর আহমেদ

নিরাপদ নিউজ: প্রথমবারের মত ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। এ সংক্রান্ত তথ্য মানবকণ্ঠে দেয়াও হয়েছে। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তৌকির নিজস্ব একটা অবস্থান ও বলয় তৈরি করেছেন। কাজের বেলায় তিনি বেশ চুজি। সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ার নানা অলিগলি দেখা দেয়। বিশেষ করে ওয়েব সিরিজ। হঠাৎ করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এমন একটি সিরিজে নাম লেখালেন তিনি। সিরিজটির নাম ‘ব্ল্যাকমেইল’। নতুন এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন এভাবে- বেশ ভালো লেগেছে কাজ করতে। যেহেতু ওয়েব সিরিজে প্রথমবার অভিনয় করেছি বোঝার চেষ্টা করেছি। তবে এ মাধ্যমে নির্মাণে বেশ কিছু পার্থক্য থাকলেও অভিনয়ের তো তেমন একটা গুণগত পার্থক্য হয় না। মঞ্চ, টেলিভিশন, ওয়েব সিরিজ কিংবা চলচ্চিত্র যে কোনো মাধ্যমে একজন অভিনেতাকে চরিত্র অনুযায়ী অভিনয় করতে হয়। ওয়েব সিরিজে আমার অভিনীত পুলিশ চরিত্রে সে চেষ্টাই করেছি। সেই অফিসারের বাড়িতে আচমকা সন্ত্রাসী ঘটনা নিয়েই ওয়েব সিরিজটির গল্প সাজানো। আর বি প্রীতমের পরিচালনায় এতে আমার সহশিল্পী হিসেবে নুসরাত ইমরোজ তিশাও অভিনয় করেছেন।
ওয়েব সিরিজ নির্মাণশৈলীতে পার্থক্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তৌকির আহমেদ বলেন, বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত বাজেটের দিক থেকে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম অনেক বেশি সমৃদ্ধ। ভালো কাজের জন্য মানসম্মত বাজেট কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বাজেটের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজের কনটেন্টেও বৈচিত্র্য রয়েছে। এমনকি পোস্টার ডিজাইন থেকে শুরু করে প্রিপ্রোডাকশনের সার্বিক কাজে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়, যা টিভি নাটকের ক্ষেত্রে তেমন একটা পাওয়া যায় না। টিভির জন্য নির্মিত নাটকে নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে নির্মাণ করতে হয়। বেশিরভাগ সময়ে সে বাজেট দিয়ে একটি ভালো নাটক নির্মাণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই অনেকে তাড়াহুড়া করে যাচ্ছেতাইভাবে নাটক নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এতে নাটকের মান দিন দিন নেমে যাচ্ছে। আরেক সমস্যা বিজ্ঞাপনের আধিক্য। একটি নাটকে কতক্ষণ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে তার নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকা উচিত।
এদিকে এ বছরের শেষের দিকে নতুন ছবির ঘোষণা দিতে পরেন বলে জানালেন। ঘোষণাটা আরও আগে দিতেন কিন্তু অনুদান চেয়ে না পেয়ে এখন নিজে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে বলেন, জীবনে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কষে কখনও সময় নষ্ট করিনি। অভিনেতা ও নির্মাতা হিসেবে অগণিত মানুষের ভালোবাসা, সম্মান, স্বীকৃতি অনেক কিছুই পেয়েছি। এটিই আমার বড় পাওয়া। তার পরও সৃষ্টির নেশায় থাকা প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু অতৃপ্তি থেকে যায়। অনেক সময় আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না। ভালো কাজ নিয়ে সবসময় স্বপ্ন বুনি। সব সময় তা পূরণও হয় না। তবুও এগিয়ে চলছি। আমার কাছে সব সময় মনে হয়, নিজের সেরাটা এখনও দিতে পারিনি। কবে সেটি দিতে পারব জানি না। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
পাঠকের মন্তব্য: (পাঠকের কোন মন্তব্যের জন্য কর্তৃপক্ষ কোন ক্রমে দায়ী নয়)