গোলাম রাব্বানী শিপন, মহাস্থান- বগুড়া থেকেঃ বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় ব্যস্ততম এলাকার কসাই পট্রির ও ফলপট্রির সামনে ফুটওভার ব্রিজ। আর ব্রিজের গাইড ওয়ালে ময়লা আর্বজনার স্তুপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোডস এন্ড হাইওয়ে এর সাসেক-২ এর আওতাধীন মহাস্থান ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাত বিশিষ্ট সম্মুখ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে এলাকাবাসীদের সুবিধার জন্য৷ সাসেক-২ এর কাজ মহাস্থান প্রায় পুরোপুরি শেষ।
কিন্তু কোটি কোটি টাকায় বিনির্মাণ এ ফুটওভার ব্রিজ তথা মহাসড়ক কিছু ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের অযত্ন অবহেলায় ধ্বংস হতে চলেছে। অনুসন্ধানে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহাস্থান ফলপট্রি ও কসাই পট্রির সামনে ফুটওভার ব্রীজ ঘেষে ময়লা আবর্জনার স্তুপ করেছে ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে কসাই পট্রির সামনে ব্রয়লার মুরগী ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের মুরগী ড্রেসিং এর পানী ও বজ্য ফেলে ডাস্টবিন তৈরী করেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ। জানা যায়, উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত সবিজ হাট হলো মহাস্থান। এখানে রয়েছে হযরত শাহ সুলতান রহঃ এর মাজার শরীফ।
রয়েছে মহাস্থান প্রত্নজাদুঘর। যে-কারনে মহাস্থান সবসময়ই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। বিশেষ করে মহাস্থান হাটে প্রতিদিন কেনাকাটা করতে আসেন আশেপাশের দশ গ্রামের মানুষ। আর এখানে কসাই পট্রির সামনে দিয়ে মানুষ রাস্তায় চলাচলের সময় নাকে কাপড় বা নাক- চেপে চলতে দেখা যায়। হাঁটার মতো কোন পরিবেশ নেই। দুর্গন্ধে এক মুহূর্ত থামাও দায়। হাইওয়ে এ সড়কে ময়লা আবর্জনা ও ব্রয়লার মুরগী বজ্য তো আছেই ব্রিজের গাইড ওয়ালে জমে আছে ময়লা। মহাসড়কের মাঝে ময়লার স্তুপ ও টিনের চালার কারণে মহাসড়কটি আয়তনে সরু হয়েছে।
যেকারন অনেক সময় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনারও ঘটনা ঘটছে। মহাস্থানের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন লালু বলেন, আমরা বাঙালি গাছের নিচে কাউকে বসতে দিলে ক্লান্তিদূর করে আবার সেই গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যাই। মহাস্থান মহাসড়কের পাশে যে দোকানপাট রয়েছে। এরা দীর্ঘ দিন ভোগ করে খেতে পারবেন। কিন্তু আপনি রুজিরোজগার করে আপনাদের ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র ভাবে মনের ইচ্ছা মত ফেলবেন এটি দুঃখজনক। মহাসড়ক তথা ফুটওভার ব্রিজ আমাদের সকলের। সবারই দায়িত্ব এটি রক্ষণাবেক্ষণ করা।
মহাস্থানের সচেতন মহল বলেন, ফুটওভার ব্রিজের ময়লা আবর্জনার কারনই হলো মহাস্থান বেশকিছু ব্রয়লার মুরগী ব্যবসায়ীরা। তাদের দোকানে কোন ড্রেসিং মেশিনের পানী নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। সারাদিন দোকান করে তারা মুরগী ড্রেসিং এর নোংরা দুর্গন্ধ পানী ব্রিজের ধারে ও রাস্তায় ফেলে পরিবেশ তো দুষিত করছেনই পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ময়লা কাগজ আবর্জনা পলিথিনে মুড়িয়ে ফেলে যান৷ যা এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং পথচারীদের চলাচলের ভোগান্তি বাড়ছে। ফলে সড়ক ও ব্রিজের গাইড ওয়াল ডেমিস হয়ে যেকোন সময় নষ্ট বা ভেঙে পড়তে পারে। এ বিষয়ে সাসেক- ২ মনিকো কোঃ এর সড়ক বিভাগের কর্মরত জামাল উদ্দিন বলেন, মহাস্থান কসাই পট্রির সামনে রাস্তা ও ব্রিজের গোড়া সুরক্ষিত রাখতে সড়ক, ফুটওভার ব্রিজ সব জায়গায় নিয়মিত তদারকি করা হবে। সরকারি সম্পদ রক্ষা ও পথচারী- যানবাহন যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে এজন্য আমাদের কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে দ্রুত প্রশাসনিক অভিযান চালানো হবে।