English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন: পুলিশ সদস্য কারাগারে

- Advertisements -

২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় স্বামী উপপরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রবিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আজম এ আদেশ দেন।

আসামি রফিকুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলা সদরের হলিধানী প্রতাপপুর গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে ও বরগুনা জেলার তালতলি থানার উপপরিদর্শক।

Advertisements

মামলার বিবরনে জানা যায়, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ঠিকাদার মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে তানিয়া আফরিনের সাথে ২০১৩ সালের ২২ মার্চ কালিগঞ্জ থানায় উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিন লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ সদরের হলিধানী গ্রামের রফিকুল ইসলামের।

বিয়ে আগে ৫ লাখ ও বিয়ের পর ১৩ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে নেয় রফিকুল। এরপরও ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে মারপিট করে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর তাড়িয়ে দেয় রফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর মীমাংসার নামে কালিগঞ্জের পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে এসে স্ত্রীকে দোতলায় ডেকে নিয়ে সেখানে কেই না থাকার সুযোগে মারপিট করে চলে যায় রফিকুল। মারাত্মক জখম অবস্থায় তানিয়াকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

Advertisements

২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি তানিয়া তার স্বামী রফিকুল, শ্বাশুড়ি রাহেলা, দেবর সাইফুল ও সাইফুলের স্ত্রী নাহারের নামে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পিটিশন ২৯/২১ মামলা দায়ের করেন। বিচারক এমজি আযম মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২) এর সেরেস্তার অ্যাড. বসির আহম্মেদ। বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহার ছয় জনের সাক্ষী গ্রহণ করে রফিকুলের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা আছে মর্মে গত বছরের ২২ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

তানিয়া আরেফিন বলেন, আসামি মীমাংসার নামে তিন বার জামিন নেন। বিপদ বুঝে তিনি আইনজীবী পরিবর্তন করেন। রবিবার আসামিপক্ষের আইনজীবী আসামী রফিকুলের স্থায়ী জামিনের (না: শিশু ৩৬৪/২১) আবেদন করেন। তার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু, অ্যাড. এসএম হায়দার, অ্যাড. তপন কুমার দাস জামিন বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানী শেষে বিচারক এমজি আযম আসামি রফিকুল ইসলামের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেল বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের জামিনাবেদন নাকচ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন