English

34 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

বগুড়ায় করোনা রোগীর জায়গা নেই সরকারি দুই হাসপাতালে

- Advertisements -

বগুড়ার সরকারি দুই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১শ জন রোগী ভর্তি হতে আসছেন। কিন্তু ২৫০ শয্যার হাসপাতালে তিল ধারনের জায়গা নেই। অনেকেই হাসতালালের মেঝেতে অবস্থান করছেন। মোহাম্মদ আলী হাসতালাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশেষ বিবেচনা ছাড়া হাসপাতালে শনিবার থেকে নতুন কোনো রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তবে এখনো করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সর্বশেষ সোমবারের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় বগুড়ায় করোনায় ও উপসর্গে ১৪ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ ও উপসর্গে ৩ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে করোনায় ৪ জন ও উপসর্গে আরও ৩ জন মারা যান। এছাড়াও বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১০১৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩২৭ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ৯২৭ জন। এদের মধ্যে শজিমেক হাসপাতালে ২৩৯ জন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২৮৪ জন ও টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৩ জন রয়েছেন। বাকিরা ১৩১১ জন রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রথম দফায় করোনা শুরুর পর বগুড়ার ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে করোনা রোগীদের বিশেষায়িত হাসপাতাল করা হয়। এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে অন্তত ২০টি। আছে আটটি আইসিইউ বেড।

একইভাবে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহের সুবিধাযুক্ত ২৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে অন্তত ২৫টি। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল টিএমএসএস মেডিকেল ও কলেজে ২০০ আসন থাকলেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকার কারণে রোগী ১০৫ জনের বেশি ভর্তি করা হচ্ছে না।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, হাসপাতালের সিট সংখ্যা বাড়িয়েও আসলে সংকট মেটানো যাচ্ছে না। এতো রোগীকে তিন হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব নয়। এ কারণে যেসব রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন ভালো তাদেরকে কাউন্সেলিং করে বাড়ি পাঠিযে দেওয়া হচ্ছে। কেবল আশঙ্কাজনক অবস্থার রোগীকেই ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে। এতেও সংকট মিটছে না। ফিরে যাচ্ছেন অনেক রোগী।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, করোনা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি। তাদের সঙ্গে থাকছেন রোগীর স্বজনেরাও। বারান্দায়ও অনেক রোগীকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে রাখা হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার এবং নার্সরা।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় বলেন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে প্রায় ২৮৪ রোগী ভর্তি আছে। শজিমেকে সিট খালি রয়েছে। এ কারণে আমরা শজিমেকে রোগী পাঠিয়ে দিচ্ছি। তবে সংকটাপন্ন রোগীকে আমরা ভর্তি করাচ্ছি। তারপরও প্রতিদিন গড়ে ১শ জন রোগী এখানে ভর্তির জন্য আসছেন।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, করোনা পজিটিভ রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরোশন ভালো থাকলে তাকে আমরা শুধু কাউন্সেলিং করেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। এখানে ২৫০ সিটের বিপরীতে ২৩৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তবে প্রতিদিন অনেক রোগীই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হতে আসছেন এই হাসপাতালে।

জেলার একমাত্র করোনা চিকিৎসার বেসরকারি হাসপাতাল টিএমএসএসের চিত্র সরকারি দুটি হাসপাতালের মতোই। এখানে চিকিৎসা ব্যয়বহুল। এ কারণে টিএমএসএসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ কম আসছেন। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেখানেও রোগীর চাপ বেড়েছে। করোনা রোগীদের ২০০ শয্যা থাকলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছে ৯৩ জন। নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিষ্টেম না থাকার কারনে।

হাসপাতালটির মুখপাত্র ডা. আব্দুর রহিম বলেন, আমাদের কোন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন নেই। সিলিন্ডারের মাধ্যমে রোগীকে অক্সিজেন দেয়া হয়। আমাদের হাসপাতালের সিট ২০০টি হলেও অক্সিজেন স্বল্পতার জন্য আমরা বেশি রোগী ভর্তি করতে পারছি না।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন