কোভিড-১৯: কোথায় যাচ্ছে বিশ্ব

বিশ্বব্যাপী চলছে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের তান্ডব।ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকার কয়েকটি দেশ করোনার আগ্রাসী থাবায় পর্যুদস্ত। আজ থেকে সাত মাস আগে ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ চীনের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ১৭ জুলাই ২০২০, দীর্ঘ সাত মাস পরেও কিন্তু অনেকটাই চিনেবুঝে ওঠা যায়নি এই অভিন্ন নবাগত শত্রুকে। মোকাবেলার স্থায়ী পথতো দূরের কথা,কীভাবে এই সংক্রমণ থেকে নিজেদের দূরে রাখা সম্ভব, কোন পথে এর সংক্রমণ ছড়ায়, কীভাবে আটকানো যায় এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এসব নিয়েও হোঁচট খেতে খেতে এগোতে হচ্ছে।
অনেক উত্তর প্রথমদিকে যা ছিল, সাত মাস পরে তা বদলে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ধোঁয়াশা এখনও অনেক। তবে এই ধোঁয়াশার মধ্যে থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা কিছু কিছু জিনিস মোটামুটি নিশ্চিতভাবে জেনে বা বুঝে গিয়েছি।
সংক্রমণ দেশে দেশে ছড়াতে শুরু করার একদম গোড়ার দিকে একটা কথা চালু হয়ে গিয়েছিল-শীতটা কাটলেই করোনা চলে যাবে। ফলে আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে একটা স্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল এই মতামত। কিন্তু অচিরেই ভুল ভাঙল। গ্রীস্ম গেল বর্ষা যায় যায়। গ্রীষ্ম গ্রাস করতে পারেনি করোনাকে।
বিশ্বময় করোনা ছড়ানোর প্রথম বাহন ছিলেন বিমানযাত্রীরা। আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রায় যখন লকডাউন হতে শুরু করল, ততদিনে ভাইরাস ঢুকে পড়েছে দেশে দেশে, এ দেশেও। পুরো বিশ্বময়।চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে।
আমরা যদি জুলাই মাসের প্রথমদিন বা ১ জুলাই এর দিকে তাকাই-১ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ০৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯১ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৫২ জন। নতুন করে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৮৪৫ জনের। এ নিয়ে করোনারায় মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ৫ লাখ ১৩ হাজার ৯২৯ জন মানুষ।
এদিকে ১৭ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭১২ জন। নতুন করে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৮৬৯ জনের। এ নিয়ে করোনারায় মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ৫ লাখ ৯২ হাজার ৬৯০ জন মানুষ। অর্থাৎ এই ১৭ দিনে বিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৫ জন বা গড়ে প্রতিদিন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮১১ জন করে। ১৭ দিনে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৮ হাজার ৭৬১ জনের বা প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ৬৩৩ জন করে। এর মানে হল করোনা আক্রান্তের ৭ মাসের মাথায় এসেও করোনাকে দমন করার ম্যাকানিজম সুদুর পরাহত।যদিও গত ১৭ দিনে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন যা গড়ে প্রতিদিন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০ জন করে।
বিশ্বে করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশ ছিল এবং আছে যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮ তম এখন ১৭ তম।পরিসংখ্যানটা এরকম ১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে সর্বোচ্চ ২৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৩ জন ছিল। ২য় অবস্থানে ব্রাজিল। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ১৪ লাখ ০৮ হাজার ৪৮৫ জন ছিল। আক্রান্তে তৃতীয় অবস্থানে রাশিয়ায় আক্রান্ত ছিল ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৯ জন।১ জুলাই প্রতিবেশী দেশ ভারত আক্রান্তের সংখ্যায় ছিল ৪ নম্বরে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯২ জন।এর পরের অবস্থানে ছিল যুক্তরাজ্য, আক্রান্ত ৩ লাখ ১২ হাজার ৬৫৪ জন। যুক্তরাজ্যের পর স্পেনে আক্রান্ত ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫১ জন।৭ম অবস্থান পেরুতে মোট আক্রান্ত ছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার ২১৩ জন।আক্রান্তে ৮ম দেশ চিলিতে মোট আক্রান্ত ছিল ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯৩ জন।এরপরে ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৭৮ জন। দশম অবস্থান ইরানে মোট আক্রান্ত হয়েছিল ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৬২ জন।একাদশতম অবস্থানে মেক্সিকোতে মোট আক্রান্ত ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ৮৯ জন।দ্বাদশতম দেশ পাকিস্তানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ০৯ হাজার ৩৩৭ জন। ত্রয়োদশতম দেশ তুরস্কে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৬ জন।চতুর্দশতম অবস্থানের দেশ জার্মানিতে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩২ জন।পঞ্চদশ্তম সৌদিআরবে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ৮২৩ জন ছিল।ষোড়শতম দেশ ফ্রান্সে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০১ জন। সপ্তদশতম অবস্থানে সাউথ আফ্রিকায় মোট আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ৫১ হাজার ২০৯ জন আর আক্রান্তে আঠারতম দেশ বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন ছিল।
কিন্তু ১৭ জুলাইতে এসে অনেক দেশের হিসেব নিকেষ পুরো পালটে গেছে।যেমন সাউথ আফ্রিকার কথাই ধরা যাক।এই দেশটি ১ জুলাই বিশ্বে করোনা আক্রান্তে সতেরতম অবস্থানে ছিল কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে ১৭ জুলাই এসে ৬ষ্ঠতম অবস্থানে উঠে এসেছে।১৭ দিনে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১২ জন নতুন রোগী যোগ হয়েছে।অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার ১৭৭ জন করে আক্রান্ত হয়েছে সাউথ আফ্রিকায়। আবার একাদশতম অবস্থানের মেক্সিকো উঠে এসেছে ৭ম অবস্থানে। প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ৭৬২ জন করে মোট ৯৭ হাজার ৯৫২ জন নতুন রোগী যোগ হয়েছে। ১৭ দিনে সবচেয়ে বেশী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলে। যুক্তরাষ্ট্রে ৯ লাখ ৬৭ হাজার ১৭২ জন অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৫৬ হাজার ৮৯২ জন করে। ব্রাজিলে ৬ লাখ ৬ হাজার ২৫৩ জন বা প্রতিদিন গড়ে ৩৫ হাজার ৬৬২ জন করে।এ দেশ দুটি তাদের অবস্থান ১ ও ২ ধরে রেখেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ৪ নম্বর থেকে উঠে এসেছে ৩ নম্বরে। ১৭ দিনে ভারতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৫ জন বা প্রতিদিন গড়ে ২৪ হাজার ৬৯৭ জন করে। রাশিয়া ৩ নম্বর থেকে নেমে ৪ নম্বরে অবস্থান করলেও ১৭ দিনে আক্রান্ত কিন্তু কম নয়। ১ লাখ ৪ হাজার ৯৪৮ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৬ হাজার ১৭৩ জন করে আক্রান্ত হয়েছে দেশটিতে। ১৭ দিনে উল্লেখযোগ্য আক্রান্তের অন্যান্য দেশগুলি হল পেরু ৫৬ হাজার ৩৭৩ জন, সৌদিআরব ৫০ হাজার ৪১৫ জন,বাংলাদেশ ৫০ হাজার ৯৯ জন,পাকিস্তান ৪৮ হাজার ৫৭৭ জন,চিলি ৪৪ হাজার ৩০৫ জন,ইরান ৩৯ হাজার ৩৯৯ জন ইত্যাদি।
যদি এই ১৭ দিনে আক্রান্তদের মধ্যে কোন দেশে কতজন মৃত্যুবরন করেছেন তা দেখি তাহলে ব্রাজিলে ১৭ হাজার ১৬৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার ৯৯৬ জন, মেক্সিকোতে ৯ হাজার ৮০৫ জন, ভারতে ৮ হাজার ১৯৯ জন, পেরুতে ২ হাজার ৯৩৮ জন, ইরানে ২ হাজার ৭৯১ জন,রাশিয়ায় ২ হাজার ৬১৭ জন উল্লেখযোগ্য।আর এই ১৭ দিনে সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে স্পেনে মাত্র ৬১ জনের।
গত ১৭ দিনে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৫৯ জন।৮ মার্চ ২০২০,বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। সে হিসেবে ১৩২তম দিন পূর্ণ হচ্ছে ১৭ জুলাই। এখন পর্যন্ত সংক্রমণের ধারা ঊর্ধ্বমুখী। এই মহামারী পর্বের স্থায়িত্বকাল কতটা হবে, তাও অস্পষ্ট।কারণ আমাদের ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৭ জুলাই পর্যন্ত করোনা শনাক্তর সর্বমোট ১০ লাখ ৮ হাজার ৭২৫টি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।ফলে বিশাল জনগোষ্টি এখনো পরীক্ষার বাইরে রয়ে গেছে।এতে করে সংক্রমনের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে।এর দায় এসে পড়ছে আমাদের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর।
দেশের স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতা নিয়ে বরাবরই অভিযোগ থাকলেও, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার লাভের পর থেকেই দেশের স্বাস্থ্য অবস্থা যে কতটা নাজুক, সেই চিত্রটি বেশী করে ফুটে উঠেছে।
একদিকে যেমন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালগুলো ঠিকভাবে সেবা দিতে পারছে না, অন্যদিকে অন্যান্য জটিলতার রোগীরাও চিকিৎসা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোও। চিকিৎসা সেবা পাওয়া নিয়ে এরকম অনেক রোগীর ভোগান্তি, হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে হয়রানির নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।করোনাভাইরাস নিয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তারা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার চরম দুরবস্থার চিত্র বর্ণনা করেছেন।বাংলাদেশের জেলা বা উপজেলা শহরে চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতার অভিযোগ বেশ পুরনো। সেখানে ভালো চিকিৎসক থাকেন না, হাসপাতালগুলোয় সরঞ্জামাদির অভাবের অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু এখন ঢাকা ও জেলা শহরগুলোর হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসক, সেবিকা ও টেকনিশিয়ানের অভাব, আইসিইউ ও মেডিকেল সরঞ্জামের অপর্যাপ্ততার নানা চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।গত কয়েক বছরে দেশজুড়ে যে হাজার হাজার বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক গড়ে উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে এই সংকটের সময় চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে রাখার অভিযোগও রয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, তাদেরকেও অনেক প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। মানসম্পন্ন মাস্ক ও পিপিই না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে করোনাভাইরাস সংকটের শুরু থেকেই।
কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর হতে চললেও, স্বাস্থ্য খাতের এরকম অবস্থার কারণ কি? বিশেষজ্ঞগণ এজন্য স্বাস্থ্যখাতে দরকারি সংস্কার না হওয়াকে দায়ী করছেন। বলছেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এটা বিবর্তিত হয়েছে, কিন্তু সংস্কার হয়নি। জনসংখ্যার হিসাবে আমাদের যে চাহিদা, তার জন্য যে সংস্কার দরকার, সেই সংস্কার না করেই এটা বিবর্তিত হয়ে আসছে। সেটাও হচ্ছে যার যার মর্জি মতো।দ্বিতীয় হলো, এটার অর্থায়ন নিয়ে একটা সমস্যা আছে। সরকারি অর্থায়ন যেটা দেয়া হয়, সেটা অপ্রতুল।এ খাতে যা বরাদ্দ দেয়া হয় তাতে বেতন ভাতা হয় আর কিছু অবকাঠামো তৈরি, যন্ত্রপাতি কেনার খরচ হয়।রাজনৈতিক বিবেচনায় যতটা অবকাঠামো তৈরি হয়, যন্ত্রপাতি কেনায় যতটা দুর্বৃত্তায়ন হয়, কিন্তু জনগণের চিকিৎসার ট্রেন্ডটা কি হবে, সেটা ঠিক করা হয়নি। মেডিকেল যন্ত্রপাতির দাম বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দেখানো ছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ে গত ৫ বছরে সরকারের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে স্বাস্থ্যখাতের কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর এসব প্রতিষ্ঠান গত পাঁচ বছরে স্বাস্থ্যখাতের বেশির ভাগ কাজই বাগিয়ে নিয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা গেছে।সম্প্রতি ১৪ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানগুলোও কালো তালিকাভুক্ত করেছে সরকার।আর সম্প্রতি করোনা পরীক্ষার ভূয়া রিপোর্ট কেলেঙ্কারিতে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তিকে শূণ্যের কোটায় নিয়ে গেছে। এরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।
সংস্কার এবং জবাবদিহিতা আগে নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে কর্মীদের ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও পরিকল্পনার মধ্যে আনতে হবে। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছিলেন দেশে দুর্নীতি না হলে জাতীয় প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ২% বেড়ে যেত।বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের ব্যয় অনেক ক্ষেত্রে কমিয়ে আনতে হবে। উৎপাদনশীল,কর্মসংস্থান ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থমকে দিলেও বাংলাদেশ হার মানবে না। বৈশ্বিক এই সংকট সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি করলেও বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে পারবে না।আমরাও আশাবাদী হতে চাই।
লেখকঃ সাংবাদিক, সোসাল এক্টিভিস্ট।