লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ধারাল দা দিয়ে শেফালী বেগমকে (৬০) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে জাফর হোসেনের (২৬) বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামের ছৈয়াল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসী জাফর হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
গ্রামবাসী জানায়, অভিযুক্ত জাফর হোসেন এলাকায় ইয়াবাখোর হিসেবে পরিচিত।
নিহত শেফালী বেগম ওই গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।শেফালী বেগমের বড় ছেলে জসিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাফর এলাকার মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িয়ে অনেক টাকা ঋণী হয়ে পড়েন। প্রায়ই তিনি টাকা দেওয়ার জন্য মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। বাবা এলাকায় কবিরাজি ওষুধ বিক্রি করে কোনোমতে দিন কাটত তাদের। তাই ঋণের টাকা পরিশোধ করার মতো সামর্থ ছিল না।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আজ শুক্রবার সকালে মা চুলায় রান্না চড়িয়ে তরকারি কাটছিলেন। এ সময় জাফর মায়ের কাছে টাকা দাবি করে গালাগাল করছিল। একপর্যায়ে ধারাল দা দিয়ে বসে থাকা মাকে সে উপর্যুপরি কুপিয়ে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। পরে চিৎকার চেচামেছি শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে হাতেনাতে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।’
খবর পেয়ে রায়পুর থানার পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে জাফরকে হেফাজতে নেয়। একই সঙ্গে পুলিশ শেফালী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘ছেলের মাদক সেবনের বিরোধের কারণে হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’