English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে অবহেলায় নাগরিক দূর্ভোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন

- Advertisements -

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ। বাণিজ্যিক রাজধানীর প্রধানতম সড়কটিতে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলে বদলে যাবে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ, বিকশিত হবে পর্যটন খাত।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর (সিডিএ) উদ্যোগে, নগরীর লালখান বাজার থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। তবে এক্সপ্রেসওয়ের বাইরে র্যাম্প ও লুপসহ এটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার।
গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সিডিএ সূত্রে ধারণা দেয়া হয়েছে প্রকল্প সম্পন্ন করতে আরও সময় লাগতে পারে। সরকারের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিশ্বমানের নগরীর দিকে চট্টগ্রাম আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশাল এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ মূলত ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অত্যাধুনিক ‘গার্ডার লিফটিং’ প্রযুক্তির ব্যবহার করে এটি নির্মাণ করা হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ জানান, এতে করে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তথা বন্দর সংশ্লিষ্ট কাজে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে ও গতিশীলতা সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আধুনিক বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে একের পর এক অনেকগুলো বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের তিনটি বড় বড় প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ও কার্যক্রম দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে না হলে চট্টগ্রাম পিছিয়ে পড়তো।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশের ৪০ ভাগ গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হতো। কিন্তু মহানগরের ভেতরে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা না থাকায় গত ১০ বছরে বিদেশি ক্রেতা কমেছে। বিমানবন্দর থেকে শিল্পাঞ্চল, কালুরঘাট, ফৌজদারহাট, নাসিরাবাদ যেতে ৩-৪ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ফলে চট্টগ্রাম থেকে রপ্তানি আগের ৪০ ভাগ থেকে কমতে কমতে এখন ১০ ভাগে নেমে এসেছে। যার একমাত্র কারণ যোগযোগ ব্যবস্থা।
নির্মিতব্য এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের কাজ চলছে দক্ষিণ হালিশহর, এম এ আজিজ রোড পতেঙ্গা থেকে বন্দর পর্যন্ত। নির্মানাধিীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যক্স কনষ্টাকশনের অবহেলার কারণে রাস্তার উভয় পাশে ও নাগরিক দূর্ভোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আলীশাহ পাড়া মহল্লা কমিটি।

আলীশাহ পাড়া মহল্লা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আব্বাছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও যুগ্নসম্পাদক হাজী নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন আলীশাহ পাড়া মহল্লা কমিটির সভাপতি হাজী রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ।
আরও বক্তব্য রাখেন আলীশাহ পাড়া মহল্লা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর সওদাগর, নুর আলম সওদাগর, মোঃ রফিক, হারুন রশিদ, মোঃ আজম।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রসাশক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে রাস্তার এই বেহাল অবস্থার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, অত্র এলাকায় বন্দর, সকল তেল সেক্টর সহ বিভিন্ন সেক্টরে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরী দেওয়ার জন্য দাবী জানান। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে ১৫ দিনের মধ্যে এম এ আজিজ রোডের সকল মেরামত কাজ না হলে এলাকা বাসি ম্যক্স কনষ্টাকশনের অফিস ঘেরাও সহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন আলীশাহ পাড়া মহল্লা কমিটির নেতারা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন