English

30 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

বগুড়া সদরের মথুরা গ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের মথুরা মধ্যপাড়া গ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মথুরা গ্রামের মহাস্থান বাজারের বিশিষ্ট পান ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিনের কন্যা সিলেট শাহ- জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্রী আছিয়া আক্তার সুমি (২১)। প্রায় ৫ বছর পূর্বে বগুড়ার নুর-আলম নামের এক যুবকের সাথে বনানীতে আছিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ৫মাসের মাথায় তার স্বাসী গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করে মারা যায়।
এরপর আছিয়া তার বাবার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে। এবিষয়ে নিহতের মা লাভলী বেগম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার দিবাগত রাতে মেয়ে আছিয়া খাবার খেয়ে তার কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ৬টায় মা আছিয়া ঘুম থেকে উঠে তাদের বারান্দায় মেয়ের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করেন। এসময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে সদর থানার এসআই মালেকসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন।
কি কারনে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে নিহতের মা লাভলী বেগম ও পিতা জালাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, মেয়ের বিয়ের পর স্বামী মারা যায়, তখন থেকেই সে মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিল। বেশ কয়েকবার তার মস্তিষ্কের চিকিৎসাও করা হয়েছিল। কিন্তু কেনো সে আমাদের অজান্তে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করলো তারা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। এদিকে নিহতের সহপাঠ্যরা জানান, মহাস্থান গ্রামের শামীম নামের এক যুবকের কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে। ওই যুবকের সাথে তার প্রেম ছিল। গত প্রায় ৩মাস পূর্বে বিয়ের দাবিতে নিহত আছিয়া শামীমদের বাড়িতে ওঠে। সেখানে শামীমের পরিবার বিয়ের আশ্বস্ত দিয়ে আছিয়াকে ফিরে দেয়। এর পর থেকে শামীম তার সাথে যোগাযোগ করে না। নিহতের চাচা শাহআলম জানান, তার ভাতিজির মোবাইলে অনেক কল-রেকর্ড এমএমএস রয়েছে। এই এসএমএসের নেপথ্যে কে? কেই বা তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে এমন প্রশ্নতার।
এবিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির এর সাথে কথা বললে, তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করা ভিকটিমের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরেও নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে নিহতের কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহত মেধাবী কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন