English

30 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

বাউফলে গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

- Advertisements -

পটুয়াখালীর বাউফলে শাহিনুর বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধূর বাবা হুমায়ন কবির সরর্দার অভিযোগ করেন, তিনি পেশা একজন ট্রাক ড্রাইবার। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার সাভারের হেমায়েত পুরের বসবাস করছেন। ৪ বছর আগে বাউফল সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বিলবিলাস গ্রামের ছালাম খানের ছেলে জুয়েল খানের সাথে তার মেঝ মেয়ে শাহিনুরের বিয়ে হয়। তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে জুলিয়া নামের তিন বছরের এক কন্যা ও আলিফ নামের ৪ মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
তিনি ট্রাক ড্রাইবার হওয়ায় অর্থাভাবে তার মেয়েকে আনুষ্ঠানিকতা করে স্বামীর হাতে তুলে দিতে পারেননি। এ কারণে তার মেয়ে জামাই ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদের উপর অসন্তষ্ট ছিল। বিয়ের পর একদিনের জন্যও মেয়েকে তাদের বাড়িতে আসতে দেয়া হয়নি। কারণে অকারণে তাকে মারধর করতো। তার দাবি শাহিনুরকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন বুধবার (৩০সেপ্টেম্বর) তার শ্বাশুরী মিনারা বেগম (৫০) এর সাথে শাহিনুরের ঝগড়াঝাটি হয়। শ্বশুর বাড়িতে শাহিনুর ছাড়াও তার শ্বাশুরী ও নাসিমা বেগম (৩০) এবং মাকসুদা বেগম (৩৫) নামের দুই ননদ থাকতো। তারা প্রায় প্রতিদিন শাহিনুরকে নির্যাতন করতো। শাহিনুরের স্বামী জুয়েল খান ঢাকা জজকোর্টে এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (১অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে অচেতন অবস্থায় শাহিনুরকে বদিউল আলম নামে নামে চাচা শ্বশুর পরিচয়ে এক ব্যক্তি বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই সময় জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করলে গাড়ি আনার কথা বলে কথিত ওই চাচা শ্বশুরসহ তার সাথে আসা কয়েক জন লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে শাহিনুরের কয়েক স্বজন ও পুলিশ এসে হাসপাতাল থেকে লাশ বাউফল থানায় নিয়ে যান এবং শুক্রবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বাউফল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুব্রত কুমার বিশ্বাস বলেন,‘রশিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানানো হয়। কিন্তু আমার কাছে সে রকম মনে হয়নি।
আমি রেজিস্ট্রার খাতায় প্রশ্নবোধ চিহ্ন দিয়ে রেখেছি। শাহিনুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’  বাউফল থানার ওসি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন