English

28.9 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩, ২০২৫
- Advertisement -

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আহ্বান

- Advertisements -

রোহিঙ্গা সংকট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। দিন-তারিখ ঠিক হওয়ার পরও কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমার প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজই করছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও মিয়ানমারের ওপর জোরালো কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না। এদিকে কঠিন প্রহরা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে রাখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারাও ক্রমে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। মারামারি, খুনোখুনিতে লিপ্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে অবিলম্বে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা ও সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিফেন এডওয়ার্ড বিগান বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও অত্যন্ত জরুরি। কারণ রোহিঙ্গাদের চরম দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের ভুল পথে টেনে নিতে পারে। বিগানও তা স্বীকার করেন এবং বলেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় এবং এই ইস্যুতে তারা বাংলাদেশকে প্রদত্ত সমর্থন অব্যাহত রাখবে। বিগান জানান, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়তে সেই অংশীদারি যুক্তরাষ্ট্র আরো বাড়াতে চায়। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কেন্দ্রভূমি হবে বলেও জানান বিগান। বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত খুশি।
বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায়ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বিগান বলেন, তিনি এরই মধ্যে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। মার্কিন সরকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেই সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ ও আন্তরিকতারই প্রকাশ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিফেন এডওয়ার্ড বিগানের বক্তব্যে। সেই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের একটি বিশেষ আবেগের বিষয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাওয়া এবং বিচারের রায় কার্যকর করা। এ বিষয়ে বিগান জানান, মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। আমরা আশাবাদী, খুব শিগগির যুক্তরাষ্ট্র তাকে ফিরিয়ে দেবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, ভূ-রাজনীতি ও ক্ষমতার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দক্ষতার সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিনির্মাণ ও পরিচালনা করা খুবই জরুরি। আমরা আশা করি, দুই দেশের মধ্যকার এই নিবিড় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো গভীর ও বিস্তৃত হবে। রোহিঙ্গা সংকটসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে দুই দেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/yx6b
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন