English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

কানাডা, নেদারল্যান্ডসের পর ইচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দিয়েছে নিউজিল্যান্ড

- Advertisements -

কানাডা, নেদারল্যান্ডসের পর ইচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আগামী বছর থেকে মৃতপ্রায় মানুষ ইচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে পারবেন।
বিশ্বের বহু দেশেই ইউথেনেশিয়া বা ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে বহু আন্দোলন হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের মূলত দুটি বক্তব্য। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার জানেন যে কোনোভাবেই তাঁদের সুস্থ করা যাবে না। তবু তাঁদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। পাশাপাশি মৃতপ্রায় ব্যক্তিকে আরো বেশি শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই প্রয়োজন ইচ্ছামৃত্যু। চিকিৎসকদের সাহায্য নিয়ে দ্রুত মৃত্যুর ব্যবস্থা করতে পারলে কষ্ট লাঘব হয়।
আন্দোলনকারীরা যা-ই বলুন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের আইনই এই মৃত্যুকে সমর্থন করে না। নেদারল্যান্ডস, ক্যানাডার মতো খুব অল্প কয়েকটি দেশে ইচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নিউজিল্যান্ডেও দীর্ঘদিন ধরে ইথেনেশিয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ভোটের সময় স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে একটি রেফারেন্ডাম বা গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার তার ফলাফল মিলেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ ইচ্ছামৃত্যুর পক্ষে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল জানতে আরো সপ্তহখানেক সময় লাগবে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পোস্টাল ব্যালট বর্তমান ফলকে বদলে দিতে পারবে না।
নিউজিল্যান্ডের আইনসভা জানিয়েছে, মানুষের রায় এসে গিয়েছে। এবার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিয়ে আইন তৈরি করতে হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে সেই আইন কার্যকর হতে পারে। অর্থাৎ আগামী বছরের শেষ থেকে নিউজিল্যান্ডের মানুষ ইচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে পারবেন। তবে সবাই নয়। আইনসভা জানিয়েছে, শুধু মৃতপ্রায় ব্যক্তিরাই এই আইনের সাহায্য নিতে পারবেন। দুজন চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করবেন এবং তাঁদের ইচ্ছামৃত্যুর বিষয়ে সহমত হতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন দীর্ঘদিন ধরেই এই ইচ্ছামৃত্যুকে সমর্থন করছেন। গণভোটের ফলাফলকে সমর্থন করেছেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন