English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গ্রাম আদালতের বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষন,পরিদর্শন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

- Advertisements -

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনন্য আবদান রাখছে গ্রাম আদালত। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায় -২) প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সীতাকুন্ড উপজেলায় গ্রাম আদালতের বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ, পরিদর্শণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ নভেম্বর ২০২০ সকালে সীতাকুন্ড উপজেলার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কোর্সের ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক এ জেড এম শরীফ হোসেন।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়। প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ(২য়)পর্যায় প্রকল্পের চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর (ডিএফ,ইউএনডিপি) উজ্জ্বল দাস চৌধুরী, জেলা সমন্বয়কারী সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞা।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট(ব্লাস্ট) চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞা, উপজেলা সমন্বয়কারী নুরুল আহাদ আরিফ। প্রশিক্ষণে সীতাকুন্ড উপজেলার গ্রাম আদালত প্রকল্পভূক্ত বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দীন, মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদ হোসাইন নিজামী, বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, ভাটিয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির আহম্মেদ, বাঁশাবাড়িয়া ইউনিয়েনের প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সেলিম উদ্দিন এবং ৬টি ইউনিযনের ইউপি সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, স্থানীয় ছোটখাটো বিরোধ বিবাদ স্থানীয়ভাবে অল্প সময়ে স্বল্প খরচে দ্রুত নিস্পত্তির জন্য সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রাম আদালত। ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তির এ উদ্যোগ জেলা আদালতে মামলার জট কমাতে যেমন ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে, তেমনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিশেষত অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। জনগনের দোর গোড়ায় আইনি সেবা পৌঁছানো ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার সরকারী ঘোষণার এক অনন্য দৃষ্টান্ত গ্রাম আদালত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং ও পর্যবেক্ষনের ক্ষেত্রে প্রতিবেদন প্রস্তুতের বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া এবং গুরুত্ব বিবেচনায় আজকের প্রশিক্ষণটির গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে এ বিষয়ে চেয়ারম্যান, সচিব ও গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন প্রস্তুতের বিষয়ে দক্ষতার উন্নয়নের বিকল্প নেই।
উদ্বোধন বক্তব্যে উপ-পরিচালক এ জেড এম শরীফ হোসেন বলেন, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম জোরদারকরণ,গতিশীলতা আনয়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষন, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন (ডিএমআইই)পদ্ধতি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) এর আওতায় বাংলাদেশের সকল ইউনিয়নে পরিচালিত গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিবীক্ষন ও মূল্যায়নের সুনির্দষ্ট নীতিমালার প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রতি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে প্রেরণ করবেন।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়ন হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে ২০ তারিখের মধ্যে উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বরাবরে প্রেরণ করবেন। উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার ৩০ তারিখের মধ্যে উক্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালক, সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাবর প্রেরণ করবেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন