English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

শিবগঞ্জের পাঁচ’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দির নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে

- Advertisements -

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের পৌর এলাকার আচঁলাই গ্রামের পাঁচ’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরটি সংস্কারের অভাবে অযত্ন আর অবহেলায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। বহু প্রাচীন এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার প্রকৃত ইতিহাস জানা না গেলেও জনশ্রুতি আছে, প্রায় পাঁচ’শ বছর পূর্বে এই শিব মন্দিরে পূজা-অর্চনা, ভক্তসেবা ও বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পরিচালনার জন্য ওই এলাকার কালী চরণ চক্রবর্তী নামের একজন পূজারী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে সারা বছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, চৈত্র সংক্রান্তিতে শিবপূজা ও জমজমাট গ্রামীণমেলা এবং গানের আসর বসতো।
বর্তমানে মন্দিরটি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। ভক্তদের নিজস্ব অর্থে মন্দিরের যে সংস্কারের কাজ চলছে তা অপ্রতুল। মন্দিরটি সংস্কার করতে পারলে আশপাশের প্রায় দু’শতাধিক হিন্দু পরিবারের প্রার্থনা করার জন্য একটা জায়গা তৈরী হবে এবং প্রাচীন এ স্থাপত্যটিও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। প্রাচীন আমল থেকে এই শিব মন্দিরে পূজা অর্চনা হয়ে আসলেও বর্তমানে সেটি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মন্দিরটি জরাজীর্ণ হওয়ার কারনে এখানে আসতে ভয়পায় ভক্তরা।
এলাকাবাসীর ধারণা, সম্রাট শেরশাহের আমলে অথবা তারও পূর্বে রাজা-বাদশাহের আমলে এই শিব মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে আকৃতিগত এবং মন্দিরের কারুকার্যের দিক দিয়ে একটি পুরাতন মন্দির হলেও এটি বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত স্থাপনায় স্থান পায়নি। ওই এলাকার স্থানীয় শিব ভক্তরা এখনো বংশ পরমপরায় নিজ দায়িত্বে মন্দিরটির দেখভাল করে আসছে। এত কিছুর পরও আজও পুরো মন্দিরের দেয়ালে জ্বলজ্বল করছে টেরাকোটার বিভিন্ন কারুকার্য। কিন্তু আবাক হওয়ার বিষয়, এত পুরাতন মন্দির হওয়া সত্ত্বেও জেলা বা উপজেলার ওয়েবসাইটে এর কোন নাম পর্যন্ত নেই। সত্যিকার অর্থেই এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মন্দিরটি অবহেলিত।
অনন্য স্থাপত্য নিদর্শন এই মন্দিরটি শুধু আচঁলাই গ্রামের অমূল্য সম্পদ নয় এটা শিবগঞ্জ উপজেলার অন্যতম পুরাতন স্থাপনা। পোড়ামাটির টেরাকোটা দ্বারা সজ্জিত ধ্বংসপ্রায় মন্দিরটি এই জনপদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রমাণ বহন করে। মন্দিরটি সংস্কারের জন্য মহৎপ্রাণ মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্দিরের ভক্তরা।
মন্দিরটি দেখভাল করার জন্য এলাকার নিখিল চক্রবর্তীকে সভাপতি এবং বিপুল চন্দ্রকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৪ সদস্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্দিরের সদস্য এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দানেই চলে মন্দিরের কার্যাদী। বর্তমানে অর্থভাবে থমকে গেছে এর সংস্কার কাজ।
এ বিষয়ে ওই মন্দিরের সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী বলেন, আমাদের গ্রামের পাঁচ’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরটির ঐতিহ্য টিকে রাখতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের একার পক্ষে মন্দিরটির সংস্কার কাজ করা সম্ভব নয়। তিনি সরকারের মন্ত্রাণালয় থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন