English

35 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

‘জানের দাদা’র বিদায় মেনে নিতে পারছে না আবদুল কাদেরের নাতনি লুবাবা

- Advertisements -

‘আমি লুবাবা। আপনারা কেন আমার দাদাকে নিয়ে ফেক নিউজ বানাচ্ছেন। উনি তো আমাদের মাঝে এখনো বেঁচে আছেন। উনাকে নিয়ে ফেক নিউজ বানালে আমার তো কষ্ট লাগে। উনি তো আমার জানের দাদা। আমার কি কষ্ট লাগে না? ফেক নিউজ না বানিয়ে দোয়া করেন।’
দাদা আবদুল কাদেরকে নিয়ে বারবার মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর পর এভাবেই এক ভিডিও বার্তা দিয়েছিলো ছোট্ট সিমরিন লুবাবা। আজ সে অবিরাম কাঁদছে। ফুলে থাকা রক্তিম দুটি চোখ সাক্ষী দিচ্ছে ‘জানের দাদা’র বিদায় মেনে নিতে পারছে না তার কচি হৃদয়। সেখানে আজ প্রিয়জন হারিয়ে ফেলার শোকের সমুদ্র জেগেছে।
আজ শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে প্যানক্রিয়াসের (অগ্ন্যাশয়) ক্যান্সারে ভুগে মারা গেছেন দেশের নন্দিত এ অভিনেতা। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তারপর থেকেই কান্না থামছে না আবদুল কাদেরের নাতনি লুবাবার। অভিনেতার বাসভবন মিরপুর ডিওএইচএসে গিয়ে স্বজনদের কাছ থেকে সে কথাই জানা গেল।
ডিওএইচএস জামে মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়েছে আবদুল কাদেরের জানাজা। সেখান থেকে মরদেহ লাশবাসী অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে। তার প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় দেখা পাওয়া গেল লুবাবার। মায়ের সঙ্গে দাদার লাশের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে সে।
কথা বলতে চাইলেই ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। জানালো দাদার দিয়ে যাওয়া শেষ উপদেশগুলো। লুবাবা বলে, ‘দাদা বলে গেছেন সবসময় যেন ভালো কাজ করি। ভালো মানুষদের সঙ্গে যেন চলি। সবসময় বড়দের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে।’
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের চরিত্র ‘বদি’ খ্যাত আবদুল কাদেরের জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল। মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন। স্ত্রী খাইরুননেছা কাদেরের সঙ্গে সুখের দাম্পত্যে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। রেখে গেছেন অসংখ্য গুণগ্রাহী ও বন্ধু স্বজন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন