English

33 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

হত্যা করে গৃহবধূর মরদেহের ওপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দিল স্বামী

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গৃহবধূ শান্তা আক্তার (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ঘাতক স্বামী স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। আজ বুধবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবিরের আদালতে ওই জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দীতে আমিনুল বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে সে স্ত্রী শান্তাকে শিলপুতা দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। এরপর মাছ কাটার বটি দিয়ে শরীরের চামড়া ছিঁড়ে তাতে লবণ লাগিয়ে দেয়। এছাড়া সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন স্ত্রী শান্তা আক্তার। স্বামী আমিনুল তার প্রতিবাদ করলে তার কথা শুনতেন না। এ নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়াও হতো।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিকেলে শান্তার মরদেহ উদ্ধারের পর বাবা কলিমউল্লাহ বাদী হয়ে রাতেই স্বামী আমিনুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার বারদীর ওরলাপুর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে বন্দর গালর্স স্কুলের পিটি শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৭ সালে সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার কলিমউল্লাহ’র মেয়ে শান্তা আক্তারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৯ সালে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শান্তার অন্যত্র বিয়ে হয়। ৭ মাস ওই স্বামীর সঙ্গে সংসার করার পর এ বছরের ২০ অক্টোবর আমিনুল ইসলাম ফুসলিয়ে পুনরায় শান্তাকে বিয়ে করে। এরপর বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস শুরু করে তারা। পুনরায় বিয়ে করার ২ মাস ৬ দিনের মাথায় শান্তাকে হত্যা করে আমিনুল ইসলাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বন্দর থানার উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক এসআই আবদুস সবুর জানান, বুধবার আদালতে হাজির করা হলে আমিনুল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার স্বামী স্কুলশিক্ষক আমিনুল ইসলাম শান্তাকে হত্যা করে শরীরের চামড়া ছিঁড়ে লবণ মেখে লাশ গুম করার জন্য কম্বল পেঁচিয়ে ভাড়া করা বাসায় রেখে দেয়। মাছ কেটে যেভাবে হলুদ মরিচ আর মশলা মাখানো হয় ঠিক সেভাবেই স্ত্রীর শরীরের বিভিন্নস্থানেই ধারালো অস্ত্রের দ্বারা কাটা কাটা ছিল। সেখানে মশলার মতই মাখানো হয় লবণ। উদ্দেশ্য মৃতদেহ যেন পঁচে না যায় কিংবা দুর্গন্ধ না ছড়ায়। কিন্তু সময়টা বেশি অতিক্রান্ত হওয়াতে আর ঘরে সেই মৃতদেহ রাখা সম্ভব হয়নি। তাই অসুস্থ বলে মৃত স্ত্রীকে কম্বল মুড়িয়ে নিয়ে চলে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে নাটক সাজান তার স্ত্রী অসুস্থ। কিন্তু ডাক্তাররা লবণ মাখানো নারীকে দেখেই আঁতকে উঠেন। নিশ্চিত হয় কয়েকদিন আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিছক লাশ আনা হয়েছে হাসপাতালে। আটক করা হয় সঙ্গে থাকা স্বামীকে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন