English

30 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের কর্মশালা

- Advertisements -

আজ শনিবার (৯ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টায় প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম এর উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফোরামের সচিবালয়ে আগামীর কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুতি’র জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি এস এম আজাদ হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন ফোরামের সদস্য সচিব রুহি দাস।

Advertisements

গ্রীন ইউনিভার্সিটির ভিসি গোলাম সামদানি ফকির, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, ফোরামের সাবেক সভাপতি মহিদুল হক খান, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ফোরামের সাবেক সদস্য সচিব আতাউর রহমান মিটন, সাংগঠনিক সচিব মাশুক শাহী, কার্য নির্বাহী সদস্য ড. আরিফ আলম লেনিন, আসমা আক্তার, কিংশু মজুমদার, সৈয়দা ইয়াসমিন পান্না, সদস্য জামাল উদ্দিন, আখতার বানু লিপি, মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মো. রেজাউল করিম রেজা, বদিউজ্জামান তোতা, মো. সিজুল ইসলাম মো. দিপাল হোসাইন দিপুসহ আরো অনেকেই কর্মশালায় যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

কর্মশালার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে আতাউর রহমান মিটন বলেন, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের যে সংগ্রাম, সেটি অব্যাহত থাকবে। সেই সংগ্রামের অংশ হিসেবে আজকে আমরা এই কর্মশালায় মিলিত হয়েছি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকে ঘিরে আমরা কি কি ধরণের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে পারি, সেগুলো চূড়ান্ত করে তারপর আমাদেরকে কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

Advertisements

এছাড়াও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাবনাসমূহ ছিল সেগুলো হলঃ

১. মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ঘিরে যারা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন এরকম ৬০ জনের কাছ থেকে ৩০ সেকেন্ড করে ৩০ মিনিটের একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে সেগুলো ভার্চুয়ালি প্রচার করতে হবে।
২. কোভিড-১৯ এর কারণে কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি তিনমাস পরপর পর্যালোচনা করা যেতে পারে। সেই হিসেবে আগামী মার্চ,জুন এবং অক্টোবরে ২০২১ কে ঘিরে কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা হবে যা ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ এ চূড়ান্ত রুপ নেবে।
৩. স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়েনের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
৪. মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সবার আগে একটি ব্রুশিয়ার তৈরি করতে হবে।
৫. ফান্ড রেইজিং এর জন্য আলাদা করে একটি কমিটি গঠন করতে হবে এবং সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য মতিঝিল এরিয়াকে একটি ভেন্যু নির্ধারণ করা যায় কিনা সেটি আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে।
৬. প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসনকে এই প্রোগ্রামে যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের কেন্দ্রিয় প্রোগ্রামটি চীন মৈত্রী সম্মেলনে করা যায় কিনা এবং সেখানে মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে আমরা আমন্ত্রণ করা যেতে পারে।
৭. পাবলিকেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরকে যুক্ত করতে হবে।
৮ খুব দ্রুতই একটা কনফারেন্স এর আয়োজন করে কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটি পুনর্গঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় উদযাপন কমিটি গঠন করা হবে।
৯. মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি গঠনের জন্য সকলের কাছ থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৫ জন করে সুশীল সমাজের নাম প্রস্তাব করার জন্য অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে কমিটিতে যুক্ত করার জন্য চিঠির মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
১০. প্রতি মাসে একটি করে অনলাইন সেমিনার অব্যাহত রাখতে হবে।
১১. ফান্ড রেইজিং এর অংশ হিসেবে প্রতিটি সদস্যকে পূনরায় নূন্যতম ১০০/= টাকা চাঁদা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।
১২. অনলাইনের মাধ্যমে একটি ফান্ডরেইজিং ইভেন্ট করা হবে এর পাশাপাশি কূপণ ব্যবহার করে গণ কালেকশনের ব্যবস্থাও করা হবে।
১৩. ২০০৫ সাল থেকে শুরু করে ২০২১ সাল পর্যন্ত ফোরামের যত অ্যাকটিভিটি হয়েছে সবগুলো অ্যাকটিভিটিকে সন্নিবেশিত করে একটি পাবলিকেশন বের করা হবে।
১৪. আগামী ২৫ মার্চ বিকালবেলা ইয়ূথদেরকে অ্যাংগেজ করে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে একটি সুবর্ণজয়ন্তীর র‌্যালি বের করা হবে।
১৫ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করছে এরকম অনেক ব্যক্তি ও সংগঠন রয়েছে, যারা খুব কম স্বীকৃতি পেয়েছে, তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের হাতে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী অ্যাওয়াড তুলে দেয়া হবে বলে আলোচনায় প্রস্তাব করা হয়।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন