English

34 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

মুজিববর্ষের সর্বোত্তম উৎসব: ৯ লাখ গৃহহীনকে ঘর প্রদান

- Advertisements -

চলতি বছরটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে খুব বেশি উৎসব বা আনুষ্ঠানিকতা করা যায়নি। রাষ্ট্রীয় অনেক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজন। তাতে কী? মুজিববর্ষে বাংলাদেশে যে উৎসব হয়েছে এ পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও কারো জন্মদিনে এমন আয়োজন দেখা যায়নি। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয় এমন ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারকে গত শনিবার পাকা ঘর ও এক টুকরো জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষে গৃহীত এই কর্মসূচিতে মোট আট লাখ ৮২ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ঘর ও জমি দেওয়া হবে। জন্মবর্ষে এর চেয়ে বড় কোনো উৎসবের কথা ভাবা যায় কি?

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরুও করেছিলেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যেখানে কেউ দরিদ্র, ভূমিহীন কিংবা গৃহহীন থাকবে না। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে অতি সীমিত সম্পদ নিয়ে তিনি সে কাজ শুরুও করেছিলেন। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হন তিনি। ঘাতকরা তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। ফলে থেমে যায় সব কিছু। ২১ বছর পর শেখ হাসিনার হাত ধরে আবারও ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি। আবারও শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনের পালা। কিন্তু নানা ধরনের ষড়যন্ত্র আবারও তাঁর গতিরোধ করে।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসেন তিনি। নতুন করে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের কাজ। তাঁর হাত ধরে দেশ আজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। প্রায় শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ২০০৫ সালের তুলনায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার ডলার অতিক্রম করেছে। দেশ নিজস্ব অর্থায়নে প্রমত্তা পদ্মার ওপর সেতু করছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণসহ বিশাল সব মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে। একসময় যে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের কোনো তুলনাই হতো না, আজ সেই বাংলাদেশ বহু দিক থেকেই পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে।

মুজিববর্ষে কেউ ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রী যে সাহসী ঘোষণা দিয়েছেন, আমরা তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, এটাই হবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর সর্বোত্তম উৎসব।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন