সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহিদুল আলম প্রত্যয় (২২) আত্নহত্যা করেছেন।তিনি শাবিপ্রবি’র পদার্থ বিজ্ঞান শাখার ৩য় বর্ষের ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি নগরীর আখালিয়া নয়াবাজারস্থ স্বপ্নীল সুপার মার্কেটের ২য় তলার ৬ নাম্বার কক্ষে তার ভাড়াটে বাসায় জানালার গ্রীলের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তাওহিদুল মাগুরা জেলার মাগুরা সদর থানার মাহমুদপুর গ্রামের এস এম জাহিদুল আলমের ছেলে। সূত্র জানায়,তাওহিদুল সবসময় একা থাকতে পছন্দ করতেন। কারও সাথে মিশতেন না চলাফেরাও করতে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করে তিনি সরাসরি ভাড়াটে বাসায় চলে যেতেন। এরপর আর বের হতেন না। বাড়িতেও তেমন যাওয়া আসা করতেন না।
সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান জানান, শাবির শিক্ষার্থী তাওহিদুলের লাশ জানালায় ঝুলে আছে দেখতে পেয়ে শাকিল নামের এক যুবক জরুরী সেবা নাম্বার ‘৯৯৯’-এ ফোন করেন বিষয়টি জানালে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে। তার পরিবার জানিয়েছেন সে পূর্বে আরেকবার বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। ওইসময় পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে তাকে রক্ষা করেন। সবসময় একা থাকতে পছন্দ করতেন তৌহিদুল।
মানুষের সাথে চলাফেরাও কম ছিলো। সোমবার কোন এক সময় ভাড়াটে কক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে প্লাস্টিকের দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। শরীরে সন্দেহ করার মতো কোনও চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে তৌহিদুলের লাশ নিতে সিলেটে এসেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তৌহিদুল আলম প্রত্যয়ের ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আবু হেনা পহিল জানান, ঘটনা জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে সে আত্মহত্যা করেছে।