English

38 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

গ্রামবাসীর সঙ্গে জাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: আহত ৪০

- Advertisements -

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের মারামারি ঘটনা ঘটে এক সপ্তাহ আগে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই যুবকের বাসায় লাগাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোঁজ নিতে থাকে এবং আজ শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এতে ক্ষেপে যায় গ্রামবাসী।

তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সকলে একত্রিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী মিলে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত ওই এলাকায় অন্তত ১০ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে এবং সংঘর্ষ চলছে। আতঙ্কে আছে ওই এলাকায় বসবাসরত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ঘটনার শুরুর দিকে পুলিশ আসলেও তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমানে আরো ৬০ জনের মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। শুরুতে হাজার খানেক গ্রামবাসী নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সকলে লাঠি নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দিয়েছে। এতে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন দফায় দফায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সড়কে অবস্থান করছে ও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। এছাড়া ওই এলাকায় বসবাসরত শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও ভাংচুর করা হয়েছে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ‘ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে স্থানীয় এক যুবক। পরে শিক্ষার্থীরা বিগত ১০ দিন যাবৎ ওই যুবকের বাসায় নিয়মিত গিয়ে তার খোঁজ করেছে। এরপর শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গেরুয়া নিজ এলাকা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে শিক্ষার্থীরা। এরপরেই ক্ষেপে যায় এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমি ঢাকা জেলা উত্তর পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেছি। কিন্তু তারা ফোর্স পাঠাতে ব্যর্থ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্থানীয়দের হামলার তিন ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনো ১২ জনের বেশি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসন এ বিষয়টি সমাধান করতে না পারলে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বেন।’

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, হল বন্ধ থাকায় আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর সুষ্ঠু সমাধান না করলে এ শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা, ‘গেছে এ সংঘর্ষে গেরুয়া গ্রামবাসীর পক্ষে অন্তত ৫ থেকে ৬টি কিশোর গ্যাং অংশগ্রহণ করেছে।’

স্থানীয়রা কয়েক দফা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে বের করা হয়েছে।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘এলাকার মা বোনদের ইজ্জত বাঁচাতে আমাদের এলাকাকে রক্ষা করতে সবাই বেরিয়ে আসেন। যার ঘরে যা আছে নিয়ে আসেন।’

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় ও সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন