English

36 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

কলেজছাত্রীর মরদেহ ফেলে পালালেন দুই যুবক!

- Advertisements -

নীলফামারীর জলঢাকায় রুবাইয়া ইয়াসমিন রিমু নামে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজে রেখে পালিয়েছে দুই যুবক।

আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ করেন, ফয়সাল ও রিজভী নামে দুই যুবক জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যা করেছে।

নিহতের স্বজন, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী সদরের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রুবাইয়া ইসলাম রিমু রংপুর কারমাইকেল কলেজে বাংলা বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। করোনাকালে কলেজ বন্ধ থাকায় রিমু নিজ বাড়িতে থেকে পার্শ্ববর্তী টেঙ্গনমারী বাজারে প্রাইভেট পড়াতেন। সেখানে যাতায়াতের সময় রিমুকে প্রতিদিন উত্যক্ত করত জলঢাকা  কচুকাটা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ হোসেনের ছেলে ফয়সাল (২৪)। ঘটনাটি রিমু তার বাবা ও বড় ভাইকে জানালে বড়ভাই ফয়সালকে মারধর করেন। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

সোমবার দুপুরে প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফয়সাল ও একই এলাকার জাহিদুল হোসেন মাস্টারের ছেলে রিজভী (২৪) জোর করে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে রিমুকে জলঢাকার রাজারহাট বাজারের অদূরে একটি ব্রিজের কাছে চলন্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা তাদের আটক করলে ফয়সাল ও রিজভী রিমুকে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

সেখানে রিমুর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথেই রিমু মারা যায়। বখাটের রিমুর লাশ হাসপাতালের লিফটে রেখে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ জলঢাকায় পাঠানো হয়।

রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম জানান, রিমুর লাশ লিফটে পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজন ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের  বাড়ি নীলফামারী সদরে হলেও ঘটনাস্থল জলঢাকায়। এ কারণে বাবা আব্দুর রাজ্জাক জলঢাকা থানায় মামলা করেছেন। তিনি বলেন বখাটেদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন