English

24 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

আমরা ভ্যাকসিন উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই: জাহিদ মালেক

- Advertisements -

‘দেশেই কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি. সার্বিক সক্ষমতার দিক দিয়ে একধাপ এগিয়ে রয়েছে। এ ধরনের কোম্পানির ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য সিড, বাল্ক আনার অনুমোদনসহ যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন তা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। আমরা দেশেই ভ্যাকসিনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’

দেশের প্রথম জীবনরক্ষাকারী আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড-এর প্লান্ট আজ ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি এ কথা বলেন।

সাভারের জিরাবোতে তিনি ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন-এর বাল্ক ফ্যাসিলিটি, আর এন্ড ডি ফ্যাসিলিটি, প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটি এবং এনিম্যাল হাউস পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ধামরাই আসনের বেনজীর আহমেদ এমপি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ-এর সচিব, মো. আব্দুল মান্নান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির বলেন, বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান বার্ষিক সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ১.২ বিলিয়ন। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অনুমোদন নিয়ে ভ্যাকসিনের সিড, বাল্ক পেলে দেশেই অতিদ্রুত ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সম্ভব।

ঢাকার সাভার-এ ২০১১ সালের জুন মাসে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিঃ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। যেখানে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা পরিসরে বিশ্ব স¦াস্থ্য সংস্থার জিএমপি নীতিমালা অনুযায়ী স্থাপিত প্লান্ট রয়েছে। এতে রয়েছে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য উন্নত মানসম্পন্ন সকল যন্ত্রপাতি। এছাড়া বৃহৎ এনিম্যল হাউস রয়েছে, যেখানে এনিম্যাল এর উপর বিভিন্ন ধরণের টেস্ট করা হয়। ভ্যাকসিন উৎপাদনের সকল কাজ পরিচালনার জন্য রয়েছে বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ ফার্মাসিস্টবৃন্দ।

ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিঃ, জুন ২০১১ থেকে তার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে এবং এখন পর্যন্ত ১৩টি ভ্যাকসিন (ইমিউনোগ্লোবিউলিনসহ) যেমন- র‌্যাবিস, র‌্যাবিস-আইজি, হেপাটাইটিস- বি, হেপাটাইটিস-এ, টাইফয়েড, টিটেনাস, টিটেনাস-আইজি, মিজেলস-রুবেলা, এন্টিভেনাম, ফ্লু ও মেনিনজাইটিসসহ বেশ কয়েক ধরনের ভ্যাকসিন অত্যন্ত সফলভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে। এই কোম্পানিটি সারাদেশে নিজস্ব সুগঠিত এবং নিয়ন্ত্রিত কোল্ড চেইন সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্যাক্টরী থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত ভ্যাকসিন গুণগত মান নিশ্চিত করে ।

ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি. বিশ্ব স¦াস্থ্য সংস্থার জিএমপি নীতিমালা অনুযায়ী ভ্যাকসিন বাল্ক ম্যানুফেকচারিং ফ্যাসিলিটি স্থাপন করেছে, যা ব্যাকটেরিয়াল এবং ভাইরাল উভয় বাল্ক অ্যান্টিজেন উৎপাদন করতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশ এখন ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বাজারজাত করনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে অনেকটা এগিয়ে আছে। এর অত্যাধুনিক এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ ফ্যাসিলিটিতে টেকনোলোজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে যেকোন ভ্যাকসিন এর বাল্ক ম্যানুফেকচারিং করা সম্ভব অথবা বাল্ক আমদানি করে দেশে ফিল-ফিনিশিং করা সম্ভব।

ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি. যা ইতিমধ্যেই দেশ ও দেশের বাইরে বিপুল আস্থা ও প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য হল সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের সুবিশাল জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন