English

38 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত মার্চ মাসে ফেব্রুয়ারী থেকে বেড়েছে তবে কমেছে মৃত্যু ও সুস্থতার সংখ্যা

- Advertisements -

মার্চ মাসে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত ফেব্রুয়ারী থেকে ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জন বেশী হয়েছে। মৃত্যু কমেছে ৩২ হাজার ৮৮১ জন এবং সুস্থতা কমেছে ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৫৯৬ জন।

বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবলীলা ফেব্রুয়ারীতে সামগ্রীকভাবে কমে আসলেও মার্চ মাসে তা আবারো বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।আমরা যদি শুধু ফেব্রুয়ারী এবং মার্চ মাসের তুলনা করি অর্থাৎ ১ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ৩১ মার্চ সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩০ দিনে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী বিশ্বে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৪১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩২ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ ৭০ হাজার ৫১১ জন করে।যেখানে ফেব্রুয়ারী মাসে মোট আক্রান্ত হয়েছিল ১ কোটি ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৫ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩০ জন করে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চে ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ মানুষ বেশী আক্রান্ত হয়েছে।

মার্চের ৩০ দিনে মোট মৃত্যু ২ লাখ ৭২ হাজার ৬৮৩ জনের বা প্রতিদিন গড়ে ৯ হাজার ৮৯ জন করে। যেখানে ফেব্রুয়ারীতে মোট মৃত্যু ছিল ৩ লাখ ৫ হাজার ৫৬৪ জনের বা গড়ে প্রতিদিন মৃত্যু ছিল ১০ হাজার ৯১৩ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চ মাসে মৃত্যু কমেছে ৩২ হাজার ৮৮১ জন। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চ মাসে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত বাড়লেও মৃত্যু কমেছে।

আমরা যদি গত ৩০ দিনে করোনা থেকে সুস্থতার সংখ্যাটা দেখি তাহলে দেখা যায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৪ জন বা দিনে গড়ে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫০ জন করে। ফেব্রুয়ারীতে সুস্থ হয়েছিলেন প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬১ জন করে।অর্থাৎ সুস্থতা কমেছে।

এখানে উল্লেখ্য, কিছু দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু রীতিমত ভাবিয়ে তুলছে।এসব দেশের মধ্যে ব্রাজিল,ফ্রান্স,ভারত,যুক্তরাজ্য,তুরস্ক,ইতালী,স্পেন,জার্মানী,মেক্সিকো,পোলান্ড,ইরান,ইউক্রেন,যুক্তরাষ্ট্র, চেসনিয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।এসব দেশে করোনা আক্রমন ও মৃত্যু আবারো বাড়তে শুরু করেছে।

এবার যদি এক নজরে মার্চ মাসে শীর্ষ ২০টি দেশের করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানটা দেখি-

যুক্তরাষ্ট্রে মার্চ মাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৯১০ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৬১ হাজার ৩৯৭ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ১০৫ জন।

ব্রাজিলে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লাখ ১২ হাজার ৭৯৫ জন বা প্রতিদিন গড়ে ৭০ হাজার ৪২৭ জন করে। ফেব্রুয়ারী মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৮ জন বা প্রতিদিন গড়ে ৪৮ হাজার ৯০ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৭ জন।

Advertisements

ভারতে মার্চ মাসে ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৪৩১ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৩৪ হাজার ৫৪৮ জন করে আক্রান্ত হয়েছে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৪ জন।

ফ্রান্সে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ২৯ হাজার ৪১৭ জন বা গড়ে প্রতিদিন ২৭ হাজার ৬৪৭ জন করে।গত এক মাসে ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৩ জন।

রাশিয়ায় মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৪১ জন।যা প্রতিন গড়ে ৯ হাজার ৬৯১ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৯৯ জন।

যুক্তরাজ্যে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৮২ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার ৫০৬ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৬ জন কম হয়েছে।

ইতালীতে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৭ জন বা গড়ে প্রতিদিন ২১ হাজার ১৯২ জন করে। ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে ইতালীতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫১৪ জন বেশী হয়েছে।

তুরস্কে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭৬ হাজার ২৯২ জন বা গড়ে প্রতিদিন ১৯ হাজার ২১০ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে তুরস্কে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৬৭ জন বেশী হয়েছে।

স্পেনে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ১৬৬ জন বা গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার ৯০৯ জন করে।গত একমাসে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার ৮০৯ জন কম হয়েছে।

জার্মানিতে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ২১৬ জন বা গড়ে প্রতিদিন ১১ হাজার ৯৭৪ জন করে।গত একমাসে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৮১ জন বেড়েছে।

কলম্বিয়ায় মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪১ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৪ হাজার ৮৬৮ জন করে।গত একমাসে কলোম্বিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

আর্জেন্টিনায় মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৭ হাজার ৫১৩ জন করে।গত একমাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৭৪ জন বেশী হয়েছে।

পোলান্ডে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ৮৪০ জন বা গড়ে প্রতিদিন ১৯ হাজার ৩৯৫ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে পোলান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬০১ জন বেড়েছে।

মেক্সিকোতে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৪ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৪ হাজার ৭৯০ জন করে।গত একমাসে মেক্সিকোতেও আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ১৮৪ জন কম হয়েছে।

Advertisements

ইরানে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৮ হাজার ১৩৬ জন করে।গত একমাসে ইরানে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে।

ইউক্রেনে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৩ জন বা গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ৫০৩ জন করে। ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে ইউক্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ জন বেশী হয়েছে।

সাউথ আফ্রিকায় মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৪২ জন বা গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ১১১ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে সাউথ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৯০ জন কম হয়েছে।

পেরুতে মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ২৭২ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৭ হাজার ৯ জন করে।ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে পেরুতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

চেসনিয়ায় মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৪ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৯ হাজার ৬০৬ জন করে। ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মার্চে চেসনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৪৭৮ জন বেড়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ১৪১ জন বা গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার ৭০৮ জন করে।ইন্দোনেশিয়ায় এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ১৭৯ জন কম হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যদেশের মধ্যে ১৮০টি দেশ কোভিড-১৯ রোগের টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, লেবাননের উদ্যোগে গৃহীত এক রাজনৈতিক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ঐক্য, উদ্যোগ ও সাধারণ ঘোষণা সত্ত্বেও আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ও অভ্যন্তরে কোভিড-১৯ টিকার সরবরাহ এখনো সমান নয়।’
জাতিসংঘ বলছে, এখনো করোনার টিকা পায়নি অনেক দেশ। এমন পরিস্থিতিতে ওই রাজনৈতিক ঘোষণায় স্বাক্ষরকারীরা করোনার টিকার উৎপাদন ও সরবরাহ আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী বাড়ানোর ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংহতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ওই লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দরিদ্র দেশগুলোর জন্য করোনার টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নেওয়া কোভ্যাক্স কর্মসূচি একটি যথাযথ প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে সবার জন্য টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব। বিভিন্ন দেশকে নিজেদের মধ্যে করোনার টিকা ভাগাভাগি করার বিষয়টিতেও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে ওই বক্তব্যে।

তবে এখনো পর্যন্ত জাতিসংঘের এই ঘোষণায় সমর্থন জানিয়ে স্বাক্ষর করেনি উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমার, বেনিন, বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও দ্য সিশেলস। অন্যদিকে ভ্যাটিকান ও ফিলিস্তিন এই উদ্যোগে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকলেও এখনো ঘোষণায় স্বাক্ষর করেনি।শেষ কথা হল,কোনো দেশই আগাম এমনটা বলতে পারে না মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শেষ হয়ে গেছে।

লেখকঃ
সাংবাদিক,সমাজকর্মী।
০১৭১৬৪৯৩০৮৯
email: smazadh@yahoo.com

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন