English

30 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

প্রেমে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে হামলা: প্রেমিকার পরিবারের আটজনকে পিটিয়ে আহত

- Advertisements -

প্রেমে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রেমিকার পরিবারের আট সদস্যকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উত্তর কদমতলা গ্রামের নগেন্দ্রনাথ বাউলিয়া, গোবিন্দ বাউলিয়া, সুভাষ বাউলিয়া, জোতিন বাউলিয়া, নিত্যানন্দ বাউলিয়া ও মমতা রাণী মণ্ডলসহ আরও দুইজন। তারা একই পরিবারের সদস্য।

স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, কদমতলা এলাকার ধনঞ্জয় মণ্ডলের মেয়ের সঙ্গে (১৭) শ্রীপদ মণ্ডলের ছেলে পল্লবের (১৯) প্রেমের সম্পর্ক। তারা উভয়ে মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গোবিন্দ বাউলিয়ার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র নিত্যানন্দ বাউলিয়া তাদের প্রেমে বাধা দেয়। এ নিয়ে নিত্যানন্দ ও পল্লবের মধ্যে ঝগড়া এবং হাতাহাতি হয়। ঝগড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পল্লব শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করে নিত্যানন্দের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় নিত্যানন্দকে মারধর করলে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসেন। তখন তাদেরও মারধর করা হয়। এতে নিত্যানন্দের পরিবারের আটজন আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের শ্রীপদ মণ্ডলের ছেলে পল্লবের নেতৃত্বে ৫-৬টি মোটরসাইকেলে বংশীপুর থেকে আসা তরুণরা সরাসরি এ হামলায় অংশ নেয়। পল্লব মণ্ডল শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সম্পাদকীয় পদে রয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর পাড়ের বাড়ি থেকে হামলায় অংশগ্রহণকারীদের ইট-পাটকেল সরবরাহ করা হয় বলেও স্থানীয়দের দাবি।

হামলার শিকার সুভাষ বাউলিয়ার স্ত্রী পূর্ণিমা বাউলিয়া বলেন, উত্তর কদমতলা ফুলতলা এলাকার শ্রীপদ মণ্ডলের ছেলে পল্লব (১৯) এই ঘটনা ঘটায়। প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে পল্লব ও এক মেয়েকে একটি বিলের মধ্যে সুভাষ বাঊলিয়ার ছেলে মিলন বাঊলিয়াসহ (১৮) কয়েকজন ধরে ফেলে এবং পরবর্তীতে বিষয়টি মীমাংসা হয়। কিন্তু ওই ঘটনার রেশ ধরে পল্লব ৫-৭ টা মোটরসাইকেলে লোকজন এনে হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, ভয়ে আমরা পালিয়ে গেলে বাড়িতে থাকা দুই মেয়ে বিজুলী ও মমতাকে তুলে নিতে টান-হেঁচড়া শুরু করে। এসময় ছোট মেয়ে চিৎকার দিলে ওর বাবা, দাদা, কাকারা বেরিয়ে আসে। তখনই তারা ইট ছুঁড়ে ঘরে থাকা টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। ঘটনার পেছনে আজগর মেম্বারের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন লিডার্স-এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল জানান, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পরির্দশন করেছেন।

হামলার বিষয়ে ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর পাড়ের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। একইভাবে বন্ধ পাওয়া যায় পল্লব মন্ডলের ব্যবহৃত মুঠোফোন।

এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, এটি একটি প্রেম ঘটিত কারণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পল্লব মন্ডল এবং ওই মেয়ে দু’জনেই মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়ে। উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় দুটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও ১১ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলায় জড়িতদের চিহ্নিতের কাজ চলছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন