English

26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

অভিনেত্রী রহিমা খাতুন-এর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

- Advertisements -

অভিনেত্রী রহিমা খাতুন-এর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৭৬ সালের ৯ জুন, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। অসাধারণ গুণি এই অভিনেত্রীর প্রতি বিন্ম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

রহিমা খাতুন (চলচ্চিত্রের লোকদের কাছে রহিমা খালা হিসেবে যিনি অধিক পরিচিত) ১৯১৫ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায়, জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতায় মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে সর্বপ্রথম অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে রেডিওতে নাট্যশিল্পী হিসেবে যোগ দেন।
তিনি বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের ) প্রথম সবাক পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র “মুখ ও মুখোশ”-এ অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আসেন।

রহিমা খাতুন অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে- আকাশ আর মাটি, রাজধানীর বুকে, তালাশ, সুতরাং, কাগজের নৌকা, আবির্ভাব, আয়না ও অবশিষ্ট, বেহুলা, ইস ধরতি পর, আনোয়ারা, এতটুকু অাশা, সূর্যস্নান, সোনার কাজল, জোয়ার এলো, নাচঘর, ধারাপাত, কার বউ, আপন দুলাল, আগুন নিয়ে খেলা, ভাগ্যচক্র, মিলন, চম্পাকলি, পালাবদল, আলোর পিপাসা, অন্তরঙ্গ, পাতালপুরী, রূপবান, জয় বাংলা, মোমের আলো, রাখাল বন্ধু, ভাইবোন, কাঞ্চন মালা, জিনা ভি মুশকিল, হীরামন, মধুমালা, নিশি হলো ভোর, সখিনা, গোরী, সপ্তডিঙ্গা, অরুণ বরুণ কিরণ মালা, চোরাবালি, অপরিচিতা, রূপবানের রূপকথা, ময়নামতি, মায়ার সংসার, নাগিনীর প্রেম, আলিঙ্গন, মুক্তি, মলুয়া, যে আগুনে পুড়ি, মেহেরবান, কতো যে মিনতি, আদর্শ ছাপাখানা, নীল আকাশের নীচে, ক খ গ ঘ ঙ, পীচঢালা পথ, দর্পচূর্ণ, ছদ্মবেশী, নতুন প্রভাত, কাঁচ কাটা হীরে, মন নিয়ে খেলা, অবুঝ মন, রংবাজ, অগ্নিপরীক্ষা, তিতাস একটি নদীর নাম, দস্যুরাণী, দয়াল মুরশিদ, আবার তোরা মানুষ হ, চোখের জলে, বাংলার ২৪ বছর, ঈশা খা, ভুল যখন ভাঙলো, অন্তরালে, ত্রিরত্ন, মামা ভাগ্নে, কে আসল কে নকল, জিঘাংসা, সোনার খেলনা, দুই রাজকুমার, লাঠিয়াল, বাদশা, ভাড়াটে বাড়ি, সুজন সখি, কেন এমন হয়, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, তালবেতাল, অালোর মিছিল, জিঘাংসা, অবাক পৃথিবী, প্রতিনিধি, স্বীকৃতি, দুটি মন দুটি আশা, ইত্যাদি।

রহিমা খাতুন অনেক টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন। একজন জনপ্রিয় ও শক্তিময়ী অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। মঞ্চ-বেতার-টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র সব মাধ্যমেই ছিলেন জনপ্রিয়। অসাধারণ গুণী অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। মানুষ হিসেবেও ছিলেন সবার প্রিয়জন। চলচ্চিত্রের লোকদের ভালোবাসার-শ্রদ্ধার রহিমা খালা। আজ হয়তো আমরা এই গুণি অভিনয়শিল্পিকে ভুলে গেছি। কিন্তু বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে/অভিনয়শিল্পে রহিমা খাতুনের অবদান অবশ্য-অবশ্যই স্মরণযোগ্য।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন