English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ঝাউডাঙ্গার রাস্তা এখন মরণ ফাঁদ: নজর নেই কর্তৃপক্ষের

- Advertisements -

যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ঝাউডাঙ্গার প্রধান সড়কটি সংস্কারের অভাবে দেড় কিলোমিটার রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে পিচ-পাথর দেবে গিয়ে পাশে উঁচু হয়ে উঠেছে। আবার কিছু কিছু স্থানে কার্পেটিং-পাথর গুলো উঠে মহাসড়কের উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ফলে সেসকল স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত ও মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে। সড়কে এ বেহাল দশার কারণে সড়কপথের যানবাহন চলে নৌকার মতো হেলে-দুলে।

আর বৃষ্টি হলে তো ভোগান্তি চরম পর্যায় পৌছায়। এ দশা একদিন কিংবা দু’দিনের নয়, বছরের পর বছরের। উঁচু-নিচু আর খানাখন্দে ভরা মহাসড়কটিতে চলার উপায় নেই। তবুও নজর নেই জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের। স্থানীয় জনগণ ও পরিবহন শ্রমিকরা এটিকে ‘মহাসড়ক টিউমার’ বলছেন আবার কেউ বলছে ‘পাহাড়ি সড়ক’। তারা বড় দূর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে সড়কটি সংস্কার করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্রাক চালক কামাল বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর থেকে এই মহাসড়ক হয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। ট্রাক ও মালামাল নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জীবনের তাগিদে চলাচল করতে হচ্ছে। আমাদের দুর্ভোগ জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন চোখ বন্ধ করে রেখেছেন। এখানে গাড়ি চলে হেলেদুলে। মোটরসাইকেল আরহী আজিজ বলেন, এ রাস্তায় আমার প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। টিউমারের মত রাস্তা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ছোট যানবাহন গুলো প্রায়ই কাত-চিৎ হয়ে পড়ে যেতে দেখা যায়। বিকল হয়ে পড়ে যন্ত্রপাতি। ঘটে দুর্ঘটনা।

পয়েন্ট গুলো ঘুরে দেখা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজার একটি বড় বাণিজ্যিক এলাকা হওয়া শর্তেও এলাকার প্রধান সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোথাও টিউমার আবার কোথাও খানাখন্দ এমন এক রুপ ধারণ করেছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে সেখানে প্রতিনিয়ত হালকা ও ভারী যানবাহন পড়ে লক্কড়-ঝক্কড় হয়ে যাচ্ছে। এখানটার সব জায়গার সড়কের ওপরের পিচ উঠে কার্পেটিং, ঝিল, পাথরের ছড়াছড়ি হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্তের। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারও মানুষ ও যানবাহন।

জানা গেছে, গতবছরে ১৬ জুলাই একই সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নিদের্শনায় মোজাহার এন্টার প্রাইজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা উঁচু-নিচু স্থান গুলো চিহ্নিত করে স্কেবেটার দিয়ে খুঁড়েই যেমন তেমন করে রোলার দিয়ে সমান করে লোক দেখানো সংস্কার করে চলে যায়। সংস্কারের সপ্তাহ না পেরতেই পাথর উঠা শুরু করে। আর সেই থেকে ধীরে ধীরে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরণের ছোট-বড় যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূঘর্টনা। স্থানীয়রা দূঘর্টনা কবলিত স্থানগুলো লাঠি পুঁতে রেখে চিহ্নিত করে রেখেছেন। এমনত অবস্থায় দ্রুত রাস্তাটি টেকসই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন চলাচলকারী।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, বর্ষার পরে ক্ষত স্থান গুলো মেরামত করে দেওয়া হবে। আর কার্পেটিং উঠিয়ে পুরাপুরি ভাবে মেরামতের জন্য ঢাকাতে প্রস্তাব পাঠিয়েছি অনুমোদিত হইলে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে সড়কটি সংস্কারের জন্য কাজ শুরু হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন