English

39 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

কোপার ফাইনালে ব্রাজিল

- Advertisements -

কোপার প্রথম সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল খেলল ফেভারিটের মতোই। আগের ম্যাচে জয়ের দুই কুশীলবই গড়ে দিলেন ব্রাজিলের ভাগ্য। নেইমারের বাড়ানো বলে লুকাস পাকেতার গোলে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সেলেসাওরা। তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উঠে গেছে প্রতিযোগিতার ফাইনালেও।

রিও ডি জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) ভোরে সেমি-ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা।

ম্যাচের শুরু থেকেই পেরুর রক্ষণে কড়া নাড়ছিলেন নেইমার, এভারটনরা। ৭ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু রিশার্লিসনের সে কাটব্যাক থেকে শটটা জোরাল ছিল না তেমন, সহজ সেভে পেরুকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক গালেসে।

১৯ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগটা পায় ব্রাজিল। সে যাত্রায় গোলরক্ষক গালেসের কল্যাণে গোল হজম করেনি পেরু। ক্যাসেমিরোর থ্রু বল থেকে লুকাস পাকুয়েতা বাইলাইনের কাছে পেয়ে যান বল, তার কাটব্যাক থেকে নেইমারের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন গালেসে। রিশার্লিসনের ফিরতি চেষ্টাটাও এরপর শেষ হয়েছে গালেসের সেভ থেকেই।

২৫ মিনিটে অবশ্য ভজকট পাকিয়ে বসেন সেই গালেসেই। লং বলে ব্রাজিলের একটা আক্রমণ রুখতে গোলমুখ থেকে সরে অনেকটা বক্সের মুখেই চলে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে এভারটন রিবেরিও ক্রস করেন মাঝে, তখনো গোলমুখে ফেরেননি পেরু গোলরক্ষক। তার অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের দুটো শট দারুণভাবেই রুখেছে পেরুভিয়ানরা, ফলে আরো একবার সেলেসাওদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে।

এর মিনিট পাঁচেক পর আবারও আক্রমণ নেইমারের। তবে তার শট রক্ষণভাগে দিক বদলে অনেকটাই দুর্বল হয়ে হাতে জমা পড়ে পেরু গোলরক্ষকের হাতে।

তবে ম্যাচের অচলাবস্থা ভাঙে খেলার ৩৪ মিনিটে। নেইমার দারুণ এক আক্রমণের শেষ দিকে ঢুকে পড়েন পেরু রক্ষণে। ততক্ষণে চার পেরুভিয়ান ডিফেন্ডার ছেঁকে ধরেছেন তাকে, নেইমার বল হারাননি তাতে, দারুণ ক্লোজ কন্ট্রোলে বল দখলে রেখে শেষে বাড়ান সতীর্থ লুকাস পাকুয়েতাকে। তার প্রথম ছোঁয়াতেই করা দারুণ শটে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। এই সবেধন নীলমণি গোলে এগিয়েই বিরতিতে গেছে কোচ তিতের শিষ্যরা।

ম্যাচের চিত্র বদলে গেল বিরতির পর। প্রথমার্ধে বিবর্ণ পেরু আক্রমণভাগে রঙ ফিরল যেন দ্বিতীয়ার্ধে। চলতি আসরে যিনি পেরুর হয়ে গোল করেছেন সবচেয়ে বেশি সেই জিয়ানলুকা লাপাদুলাই যেন ছিলেন সবচেয়ে বেশি সপ্রতিভ। ৪৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে কাট ইন করে ঢুকলেন তিনি। করলেন জোরালো এক শট, এডারসনের দারুণ সেভ সে যাত্রায় ম্যাচে সমতা ফেরানো থেকে ঠেকায় পেরুকে।

এর মিনিট দুয়েক পর লাপাদুলার ছেড়ে দেওয়া বল থেকে রাজিয়েল গার্সিয়ার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ব্রাজিল রক্ষণে পেরুর ত্রাসটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ততক্ষণে। ৬০ মিনিটে আবারও সেই রাজিয়েলের শট, এবার সেটা গেল লক্ষ্যেই, তবে গোলমুখে থাকা এডারসন রুটিন সেভ দিয়ে গোল হজম করা থেকে রক্ষা করেন ব্রাজিলকে।

এরপর ঘাত প্রতিঘাতে ম্যাচ এগিয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের রক্ষণই এরপর পোক্ত হয়েছে পাল্লা দিয়ে, তবে ক্ষুরধার আক্রমণেরও যেন অভাব ছিল বেশ। তাতে গোলের দেখা আর পায়নি কোনো দল। কোনো রকম অঘটন ছাড়াই ব্রাজিল নিশ্চিত করে ফাইনাল।

দ্বিতীয়ার্ধের পারফর্ম্যান্স কোচ তিতেকে কিছুটা ভাবনায় রাখবে বটে। তবে একটা তথ্য তিতেকে তো বটেই, আশা দেখাতে পারে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সমর্থকদেরও। এর আগে ব্রাজিল আর পেরু দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল সেমিফাইনালে। ১৯৭৫ এ জিতেছিল পেরু আর ১৯৯৭ এ শেষ হাসি ছিল ব্রাজিলের। সে দুই আসরের শিরোপাজয়ী দল ছিল ব্রাজিল-পেরু সেমিফাইনালে জেতা দলই। আগের দুইবার হয়েছিল, তবে কি এবারও?

১১ জুলাই ঐতিহাসিক মারকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে তারা খেলবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যে বিজয়ী দলের সঙ্গে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন