English

36 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ: বিপর্যস্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাঁচান

- Advertisements -

বৈশ্বিক অতিমারি করোনাভাইরাসে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি শিক্ষা খাতও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা গত প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেনি। সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা নিয়মিত তাঁদের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও তাঁদের বেতন-ভাতা পেয়েছেন।

নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মহল থেকে আর্থিক প্রণোদনা পেয়েছেন। কিন্তু বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী এমনকি উদ্যোক্তারা বিপদে আছেন। দেশের ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের ছয় লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকেই বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পেশা। অনেক উদ্যোক্তা নিজের স্কুলবাড়িটি মেস হিসেবে ভাড়া দিয়ে বাড়িভাড়া মেটাচ্ছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের অনেকে ভ্যানে সবজি বিক্রি করছেন। অনেকে দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ নিয়েছেন।

Advertisements

কিন্ডারগার্টেনের উদ্যোক্তারা টিউশন ফির টাকায় বাড়িভাড়া মিটিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতেন। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা বেতন দেওয়া বন্ধ করেছেন।

অনেক প্রতিষ্ঠান একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে বাড়িভাড়া মিটিয়ে কোনোভাবে প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলেও বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক ও কর্মচারীরা। কিন্ডারগার্টেনের অনেক শিক্ষকই প্রাইভেট টিউশনি করে আয় করতেন। কিন্তু করোনা মহামারি সে পথও রুদ্ধ করেছে। রাজধানী ঢাকার অনেক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে এখন স্কুলে রাত যাপন করেন।

Advertisements

এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুব শিগগির খুলছে না। কিন্তু এসব মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সরকার দুই দফায় নন-এমপিওর ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষক ও ২৫ হাজার ৩৮ জন কর্মচারীকে সহায়তা দিয়েছে।

দুই দফার প্রতিবার শিক্ষকরা এককালীন পাঁচ হাজার টাকা আর কর্মচারীরা আড়াই হাজার টাকা পেয়েছেন। প্রয়োজনের তুলনায় এই টাকা অপ্রতুল হলেও কিছুটা সহায়ক হয়েছে। সম্প্রতি সরকার নিম্নজীবীদের জন্য প্রণোদনার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সেখানেও কিন্ডারগার্টেনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

শিক্ষকরা কম বেতন পেলেও এলাকায় শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত। ফলে যেকোনো পেশা বেছে নেওয়া তাঁদের জন্য কঠিন। এ অবস্থায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাঁদের জন্য কোনো প্রণোদনা কিংবা সরকারি সহযোগিতার ব্যবস্থা করা গেলে তাঁরা উপকৃত হবেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন