English

31.9 C
Dhaka
বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫
- Advertisement -

টেকনাফে পাহাড়ধসে একই পরিবারের ৫ জন নিহত

- Advertisements -

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে দুই পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ১৫ ঘণ্টার মাথায় টেকনাফের হ্নীলায় পাহাড়ধসে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ভিলেজারপাড়ায় এ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাহাড়ি গ্রাম ভিলেজার পাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের ছেলে শুক্কুর, জুবাইর, আবদুর রহিম, মেয়ে কহিনুর ও জাইনবা।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হ্নীলা ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার হোছেন আহমেদ জানান, ছৈয়দ আলমের বাড়ি পাহাড়ের পাদদেশে। পাশে উঁচু পাহাড়। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বর্ষণ থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। এতে নরম হয়ে রয়েছে পাহাড়ের মাটি। মঙ্গলবার রাতের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের কিছু অংশ ধসে গিয়ে ছৈয়দ আলমের বাড়ির ওপর পড়ে। এতে চালাসহ চাপা পড়ে বাড়ির ঘুমন্ত সদস্যরা। মাটির নিচে চাপা পড়ে ছৈয়দ আলমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে প্রথমে দুইজন ও পরে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই চেয়ারম্যানসহ সবাই ঘটনাস্থলে যান।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‌‘মঙ্গলবার সকালেই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ পাঁচজন এবং হোয়াইক্যং ও মহেশখালীতে স্থানীয় আরো দুজন নিহত হন। এর ১৫ ঘণ্টার মাথায় হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় ধসেপড়া পাহাড়ের মাটি চাপায় একই পরিবারের নারী-পুরুষসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বাকী সদস্যরাও। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি চরম মর্মান্তিক ঘটনা। পাহাড়ের কিনারা ও উপরে ঝুঁকিতে বাস করা পরিবারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া না গেলে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসে হ্নীলা ইউনিয়নে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানান, সোমবার দুপুর ১২টা হতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৩৩ মিলিমিটার। সাগরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বলবত রয়েছে। আরও দু-তিনদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘটতে পারে পাহাড় ও ভূমিধসের ঘটনাও।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘শ্রাবণের অতিবর্ষণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ভারি বর্ষণে ঢল নেমেছে জেলার তিন প্রধান নদী ঈদগাঁওর ফুলেশ্বরী, চকরিয়ার মাতামুহুরি ও রামুর বাঁকখালীতে। বান ও বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন হয়েছে জেলার নয় উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও সমতল। শত শত বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জলবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট। পানিবন্দী হয়ে পড়ায় অনেক পরিবারে রান্নাও বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ধসে এবং বানের পানিতে ভেসে এ পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশের বসিন্দাদের সরিয়ে নিতে মাইকিং ও অভিযান চলছে।’

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/ddui
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন