English

31 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

লকডাউনে ১৩ কিলোমিটার যানজট! অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর ভোগান্তি চরমে

- Advertisements -

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড লকডাউনের মধ্যেও প্রতিদিন তীব্র যানজটে নাকাল হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অসংখ্য রোগিসহ বিভিন্ন জরুরি সেবায় নিয়োজিত মানুষ। সর্বশেষ, বুধবার সকাল থেকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার যানজট উভয় দিকে অন্তত ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয। হাইওয়ে পুলিশ যানজটের কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, মহাসড়কের আশপাশে গড়ে উঠা কয়েকটি লজেস্ট্রিক সেন্টারের কারণে এই অবস্থা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সলিমপুর থেকে সোনাইছড়ি পর্যন্ত এলাকায় প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ব্যহত হচ্ছে জরুরি সেবা। একই সঙ্গে করোনাসহ বিভিন্ন রোগীর ভোগান্তি চরমে।

ব্যাংক কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন টিটু বলেন, তার ব্যাংকের অপর একজন কর্মকর্তা নওশাদের বাড়ি যেতে স্বাভাবিক সময়ে লোকাল গাড়িতে মাত্র ১০ মিনিট লাগে। কিন্তু এ যানজটের কারণে এখন বাড়ি যেতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়।

সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম. সেকান্দার হোসাইন বলেন, বানুরবাজার টোবাকো গেটে অবস্থিত পোর্টলিং লজেস্ট্রিক সেন্টার নামক কন্টেইনার ডিপোতে প্রবেশের জন্য শত শত গাড়ি মহাসড়ক দখল করে দাড়িয়ে থাকায় যানজট এখন নিত্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বুধবার অন্তত সাড়ে ৩ ঘণ্টা যানজট ছিলো মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে।

যানজট নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপজেলার মুরাদপুর থেকে শ্বাসকষ্টের রোগী নিয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা দেওয়া যাত্রী মো. আবুল কালাম। তিনি যানজটে আটকে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে চরম অস্থিরতায় ভুগছিলেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ যানজটে যদি আমার রোগী মরে যায় তার দায় নেবে কে? হাইওয়ে পুলিশ কেন এসব যানজট সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আপনারা এসব লিখে জনগণের কিছু উপকার করেন প্লিজ।

যানজটের কথা স্বীকার করে ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পোর্ট লিং কন্টেইনার ডিপোটির ধারণ ক্ষমতা আছে ৫০০ গাড়ি রাখার। কিন্তু তারা কয়েক হাজার গাড়ি বুক দিয়ে দেন। এর ফলে এসব গাড়ি এসে আটকে পড়ে। ভেতরে জায়গা না থাকায় গাড়িগুলো মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকে। এমনকি কোন কোন গাড়ি ৫-৭ দিনও আটকে থাকে মহাসড়কের ওপর।

তিনি বলেন, এতে এসব গাড়ির চালকরাও অতিষ্ঠ। তেমনি অতিষ্ঠ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। তবে যানজট সৃষ্টি হলে তারা দ্রুত নিরসনের জন্য কাজ করেন বলে দাবি তার।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন