English

29 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

শিবগঞ্জে জমিতেই মারা যাচ্ছে পাট, বিপাকে চাষি

- Advertisements -

পাট চাষ করে এবারে বিপাকে পড়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পাট চাষিরা। সঠিক সময় পর্যন্ত জমিতে রাখতে পারছেন না পাট। তার আগেই জমিতেই পাট মারা যাচ্ছে। পাটের মৃত্যু রোধে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস নেই নি কোন পদক্ষেপ।

একদিকে পাটের মৃত্যুতে আবাদ কম আবার বাজারে পাটের দাম কম থাকায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন পাট চাষিরা। উপজেরা সদর ইউনিয়নের ধাওয়াগীর মিল্কিপুর গ্রামের পাট চাষি মাফুজার রহমান জানান ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে, লাঙ্গল, বীজ, সেচ, সার, পরিস্কার করা সহ খরচ হয় সাড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।

বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মন পাট উৎপাদন হওয়ার কথা সেখানে পাটের মৃত্যুর কারনে উৎপাদন হচ্ছে ৭/৮ মন। প্রতিবিঘা জমিতেই পাট নষ্ট হচ্ছে ৩/৪ মন। একই গ্রামের হেলাল জানান গতবছর পাটের দাম ভাল পাওয়ায় এবার ৪৮ শতক জমিতে পাট চাষ করেছেন তিনি। কিন্তু এবার পাট কাটার আগেই দেখে প্রায় ১৮ শতক জমিতে পাট মারা গেছে। তিনি বলেন কৃষি অফিস সহযোগিতা করলে পাটগুলি রক্ষা করা যেত পক্ষান্তরে উৎপাদন বেশি হতো এবং সেই সাথে লাভবান হতাম।

কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের পাট চাষি সারোয়ার জানান তিনি এবার ২ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছেন। পাট কাটার আগেই দেখেন তার ২৫ শতক জমির পাট মারা গেছে। আরো ৫/৭ দিন জমিতে পাট রাখলে উৎপাদন বেশি হতো কিন্তু পাট মারা যাওয়ার কারনে খরচ হচ্ছে দ্বিগুন। এতেকরে লোকসানের মুখে পড়বেন বলে তিনি জানান। সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সিহাবুল ইসলাম সুইট বলে আমাদের এখানে পাট চাষে আগ্রহ ছিল কৃষকদের কিন্তু পাট মারা যাওয়ার কারনে পাট চাষে আগ্রহ কমে গেছে। সবচেছে বড় কথা পাট মৃত্যু থেকে পাট বাঁচাতে হবে। কৃষি কোন প্রযুক্তি থাকলে তাহলে তা ব্যবহার করতে হবে।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন এবার শিবগঞ্জ উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষা মাত্রা ধরা হয়েছে। তিনি আরো বলেন পাটের মারা যাওয়ার ব্যাপারে কেউ কিছু আমাকে বলেনি কিংবা কোন কৃষক আমার কাছে এব্যাপারে আসেনি। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। পরবর্তীতে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন