English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

নতুন মাংসখেকো উদ্ভিদের সন্ধান!

- Advertisements -

আমেরিকার আলাস্কায় নতুন মাংসখেকো উদ্ভিদের সন্ধান মিলেছে। উদ্ভিদটির কাণ্ড সবুজ, ফুলের রং সাদা। নতুন আবিষ্কৃত মাংসখেকো গাছটির সঙ্গে আরেক মাংসাশী উদ্ভিদ সানডিউ বা সূর্য শিশিরের মিল রয়েছে। এ বর্গে ১৫০টির বেশি উদ্ভিদ আছে, যারা উজ্জ্বল লাল রং, শিশিরবিন্দু ও সুগন্ধির সাহায্যে পতঙ্গ ধরে খায়। খবর ন্যাশনাল জিওগ্রাফির।

অন্যান্য মাংসখেকো উদ্ভিদের মতোই নতুন আবিষ্কৃত মাংসাশী গাছটির আয়ুষ্কালও খুব কম। উদ্ভিদটি মে মাসে জন্মায়, জুন-জুলাইয়ে এতে ফুল ধরে, তারপর বীজ উৎপাদন করে শরতের শুরুতে মারা যায়। এটি আবিষ্কার করেছেন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানী কিয়ানশি লিন। লিন এই গাছের খোঁজ পান তার এক ছাত্রের কাছ থেকে। ওই ছাত্র লিনকে জানায়, গাছটির ফুলের গঠন মাংসখেকো উদ্ভিদের মতো।

লিন তখন পরীক্ষানিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে, এতদিন মন্দারের মতো দেখতে ওই গাছটি আসলেই মাংসাশী। এতদিন গাছটিকে সবাই মন্দারের একটি প্রজাতি হিসেবেই চিনত। কিন্তু লিনের গবেষণায় দেখা যায়, গাছটি ফুলের মাধ্যমে ছোট ছোট কীটপতঙ্গকে ফাঁদে ফেলে খেয়ে ফেলে।

বেশিরভাগ মাংসাশী উদ্ভিদই রৌদ্রোজ্জ্বল অঞ্চলে ঊষর মাটিতে জন্মায়। প্রাণী ধরে খাওয়ার জন্য প্রচুর শক্তির দরকার পড়ে। মাত্র দশমিক ২ শতাংশ উদ্ভিদের এই ক্ষমতা আছে বলে ধারণা করা হয়।

নতুন আবিষ্কৃত মাংসখেকো গাছটি আকারে অত্যন্ত ছোট। এছাড়াও গাছটির যে কর্ষিকাগুলো (লম্বা শুঁড়জাতীয় অংশ) বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ আটকে ফেলে, সেগুলো শুধু ফুলের মধ্যেই থাকে। এজন্যই গাছটি এতদিন কারও চোখে পড়েনি।

গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন প্রজাতির এই মাংসাশী উদ্ভিদ ছোট ছোট পিঁপড়া ও মাছি ধরে খেয়ে ফেলে। তবে পরাগায়নে সাহায্যকারী মৌমাছিদের এরা ধরে না। উদ্ভিদটির শুঁড়ের মতো কর্ষিকাগুলো বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গ আটকে ফেলে এবং ক্রমেই সেগুলোকে হজম করে নেয়।

তবে জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী অ্যান্দ্রিয়াস ফ্লাইশমান বলেছেন, নতুন আবিষ্কৃত উদ্ভিদটি নিজেকে রক্ষার জন্যও পোকামাকড়কে হত্যা করে থাকতে পারে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন