English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

নায়করাজের সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা ও দোয়া মাহফিল

- Advertisements -

নায়করাজ রাজ্জাক। এমন উচ্চতায় যে রাজার আসন, মৃত্যু তাঁকে কখনো ছুঁতে পারে না। তিনি অমর হয়ে আছেন, থাকবেন এ দেশের মানুষের হৃদয়ে। আজ শনিবার তাঁর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। এ উপলক্ষে প্রিয় শিল্পীকে ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কিংবদন্তি এই অভিনেতার বনানী কবরস্থানে আজ দুপুর ২টায় শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, জ্যাকি আলমগীর, জাকির, মারুফ আকিব, জয় চৌধুরী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর কবর জিয়ারত করেন।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নায়করাজ আমাদের চলচ্চিত্রের মাথার মুকুট ছিলেন। তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি। চলচ্চিত্র ও শিল্পী সমিতিতে তার অবদান ভোলার নয়। আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি তাকে। তার জন্য দোয়া করছি, তিনি যেন শান্তিতে থাকেন।’

এছাড়া, নায়করাজের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পী সমিতিতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

নায়করাজের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায়। কিশোর বয়সে কলকাতার নাটক দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু তাঁর। ১৯৬৪ সালে নতুন জীবন গড়তে সাধারণ মানুষ হিসেবে রাজ্জাক পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন প্রায় অসহায় অবস্থায়। কঠোর পরিশ্রম আর জীবনে প্রতিটি মুহুর্তের সঙ্গে সংগ্রাম করে হয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক।

তৎকালীন পাকিস্তান আমলে টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সবার কাছে জনপ্রিয় হন তিনি। ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে সুচন্দার বিপরীতে নায়ক হিসেবে ঢালিউডে প্রথম উপস্থিত হন এবং সবার মন জয় করে নেন। ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন।

চারবার জাতীয় সম্মাননা লাভ করেন। তাঁর সফল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্র তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত করে। ‘উজালা’ ছবির মধ্য দিয়ে শুরু হলো রাজ্জাকের ঢাকার চলচ্চিত্র জীবন। একসময় জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।

লোককাহিনি নিয়ে জহির রায়হান তখন ‘বেহুলা’ ছবিটি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। জহির রায়হান তাঁকে বললেন আপনিই আমার ছবির নায়ক। জহির রায়হানের সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায় অসাধারণ লখিন্দর হয়ে দর্শকের সামনে উপস্থিত হলেন রাজ্জাক।

বেহুলা ১৯৬৬ সালে মুক্তি পায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পায় আরেকজন অপরিহার্য নায়ক।  ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন দেশীয় চলচ্চিত্রের এই অবিসংবাদিত রাজা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন