জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। দেশটিতে চলছে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। এবারের এই নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন জার্মানির জনপ্রিয় চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল।
২০০৫ সাল থেকে টানা ১৬ বছর আঙ্গেলা মের্কেল জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী তিনি এবার আর চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়ছেন না।
এবারের নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়ছেন তিনজন। আঙ্গেলা মের্কেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) থেকে চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়ছেন দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান আরমিন লাশেট। ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) চেয়ারম্যান আরমিন লাশেট বর্তমানে জনসংখ্যার হিসেবে জার্মানির সবচেয়ে বড় রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার (এনআরডব্লিউ) এর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।
কয়েক বছর ধরেই রাজ্য সরকারের প্রধান হিসেবে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও ইন্টিগ্রেশন মন্ত্রী হিসেবে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে আরমিন লাশেটের।
সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি) থেকে চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়ছেন জার্মানির বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর এবং অর্থমন্ত্রী ওলাফ শোলজ। তার রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। কাজ করেছেন হামবুর্গ শহরের মেয়র হিসেবে এবং ছিলেন হামবুর্গ রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসপিডিতে রয়েছে তার তৃণমূল থেকে শীর্ষে উঠে আসার গল্প।
পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টি থেকে চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়ছেন আনালেনা বেয়ারবক। তিনি বর্তমানে দলটির প্রধান এবং ২০১৩ সাল থেকে জার্মান পার্লামেন্টের সদস্য। পরিবেশবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে বর্তমানে গ্রিন পার্টির সমর্থন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর দলটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে একজনকে ভোটারকে ২টি ভোট দিতে হয়। একটি সরাসরি তার এলাকার সদস্য প্রার্থীকে এবং অন্যটি যেকোনো একটি রাজনৈতিক দলকে।
জার্মানির ফেডারেল পার্লামেন্টের (বুন্দেস্টাগ) ৫৯৮টি আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ২৯৯টি আসনের সদস্যরা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন এবং বাকি অর্ধেক সদস্য নির্বাচিত হবেন সারা দেশে দলের প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হিসেবে। এবারের নির্বাচনে ৬০.৪ মিলিয়ন ভোটার রয়েছেন।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হবে কে হবেন আঙ্গেলা মের্কেলের উত্তরসূরি।