English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

প্রথম দিনের রিমান্ডে যা বললেন ইভ্যালির রাসেল

- Advertisements -

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী (চেয়ারম্যান) শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ছিল রিমান্ডের প্রথম দিন।

এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল দাবি করেছেন, তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি, প্রতারণার প্রশ্নই ওঠে না। গ্রাহক জেনেবুঝেই ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করেছে, যারা ডেলিভারি পায়নি ভবিষ্যতে টাকা পেয়ে যাবে। এখানে প্রতারণার কোনো বিষয় ছিল না।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রিমান্ডে রাসেল দাবি করেছেন, ইভ্যালির প্রতিটি পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনের সঙ্গে পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে শর্ত দেওয়া ছিল। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল ‘স্টক থাকা পর্যন্ত’। অনেক সময় স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেননি। যাদের  পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেননি তাদেরকে টাকা রিফান্ড (ফেরত) করেছেন। অনেকের রিফান্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এছাড়াও প্রতিশ্রুত পণ্য সময়মত না দেওয়ার আরেক কারণ হিসেবে রাসেল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি একটি নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো গ্রাহক পণ্য অর্ডার করলে তাকে ওই পণ্যের ১০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করতে হয়। বাকি ৯০ শতাংশ টাকা গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পর প্রদান করবেন। আমরা অনেকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়েছি, সাপ্লাইয়ারকে অর্ডারের বিষয়ে জানিয়েছি। বেশ কয়েকজন সাপ্লাইয়ার ইভ্যালিকে ফুল পেমেন্ট ছাড়া পণ্য দিতে চায়নি। তাই ডেলিভারিগুলো আটকে গেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন সেলার (সাপ্লাইয়ার) বলেছেন করোনাকালীন সময়ে অনেক পণ্যের ‘উৎপাদন বন্ধ ছিল’, তাই তারা ইভ্যালিকে পণ্য দেয়নি। ফলে গ্রাহকদেরকে সব পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যায়নি।

গ্রাহকদের টাকা আটকানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রাসেলের দাবি, জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট তিন লাখ অর্ডার ডেলিভারি করেছে ইভ্যালি। যাদেরকে পণ্য দেয়া যায়নি তাদের টাকা রিফান্ড করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা (১০% অ্যাডভান্স) এবং ইভ্যালিতে কেনাকাটায় একের পর এক ব্যাংক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ইভ্যালির নগদ জমার পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে রিফান্ড প্রক্রিয়ার গতি ধীর হয়ে যায়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার এসআই ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আত্মসাৎ ও প্রতারণা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আমরা তদন্তের মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করছি যে রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন কি না।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিচার বিশ্লেষণ করেই একটা মামলা হয়। এখন অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে আমরা আত্মসাতের বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। আর টাকাগুলো যদি আত্মসাৎ করা হয়, তাহলে সেই টাকা এখন কোথায় আছে তা জানার চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওইদিন বিকেলেই রাসেলকে আটক করে র‍্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের গুলশান থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন