English

33 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন কবীর সুমন

- Advertisements -

মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করলেন সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ‌্যায় এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তিনি। ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে এসব তথ‌্য জানিয়েছেন সুমন।

Advertisements

মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করার পর কোনো বক্তব‌্য দেননি কবীর সুমন। তবে এর আগে মরণোত্তর দেহদানের বিষয়টি উল্লেখ করে একটি চিঠি লিখে তা ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন জীবনমুখী গানের এই শিল্পী।

বরেণ‌্য এই গায়ক চিঠিতে বলেছিলেন—‘চেতন অবস্থায়, স্বাধীন ভাবনাচিন্তায় ও সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জানাচ্ছি, আমার কোনো অসুখ করলে, আমায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে অথবা আমি মারা গেলে আমার সম্পর্কিত সবকিছুর, প্রতিটি বিষয় ও ক্ষেত্রে দায়িত্বগ্রহণ ও সিদ্ধান্তগ্রহণের অধিকার থাকবে একমাত্র মৃন্ময়ী তোকদারের (মায়ের নাম প্রয়াত প্রতিমা তোকদার, বাবার নাম দেবব্রত তোকদার)। আমার মৃতদেহ যেন দান করা হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে। কোনো স্মরণসভা, শোকসভা, প্রার্থনাসভা যেন না হয়।’

এদিকে নেটিজেনদের সাধুবাদে ভাসছেন কবীর সুমন। রাশিদা তিথি লিখেছেন, ‘স্যালুট। প্রণতি জানাই তোমায় গুণী।’ অর্ণব ব‌্যানার্জি লিখেছেন, ‘অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে কবীর।’ হেলাল আহমেদ লিখেছেন, ‘অসাধারণ স্যার। কিছু মানুষ জীবিত থাকাকালীন মানুষের জন্য, মরণের পড়েও মানুষের জন্য। আর এমনই একজন মানুষ আপনি।’

Advertisements

গত ২৭ জুন, রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কবীর সুমন। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেন এই শিল্পী। আপাতত শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন তিনি।

১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ শিরোনামের একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করে শ্রোতাপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যান কবীর সুমন। জীবনমুখী বাংলা গানের প্রবর্তক হিসেবে তাকে দুই বাংলার শ্রোতারা সাদরে গ্রহণ করেন। একসময় স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। পরে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সাংসদ নির্বাচিত হন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন