English

38 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

ডিসেম্বরেই ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ: টিআরএনবি সংলাপে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

- Advertisements -

আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করবে,বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন , ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো থেকে কোনভাবেই পিছিয়ে থাকবে না। ২০১৮ সালে বিশ্ব যখন ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ একই বছর এই প্রযুক্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত তিন বছরে ফাইভ-জি প্রযুক্তির নীতিমালা প্রণয়ন ও এর সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বহুপাক্ষিক আলোচনা ও বিচার বিশ্লেষণ করেই ফাইভ জি যুগে আমরা প্রবেশের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী আজ শনিবার ঢাকায় টেলিকম সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-টিআরএনবি আয়োজিত‘ফাইভজি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসি‘র কমিশনার ও ৫জি নীতিমালা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এ কে এম শহীদুজ্জামান, টেলিটক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দীন, এমটব চেয়ারম্যান ও বাংলালিংকের সিইও এরিক অস, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, চীফ অপারেটিং অফিসার, হুয়াওয়ে তাওগোয়ানজিও, (Tauguangyao) এবং এরিকসন এর কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম বক্তৃতা করেন। টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন।

মন্ত্রী ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা।এর মাধ্যমে আমাদের জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো। এই প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা সোস্যাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরোতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে তিনি জানান। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার ফাইভ জি প্রযুক্তি চালুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সকল অংশীজনদের সাথে নিয়ে ফাইভজি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহার ও কথা বলার জন্য ৪জি প্রযুক্তিই যথেষ্ট উল্লেখ করে বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তি হচ্ছে একটি শিল্প পণ্য। আগামী দিনের প্রযুক্তি এআই, রোবটিক্স, আইওটি, বিগডাটা কিংবা ব্লকচেনের যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান কিংবা মৎস্য ও কৃষির জন্য ফাইভ জি অপরিহার্য। এমনকি শিল্প কারখানায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ফাইভ-জি ছাড়া বিনিয়োগ করবে না।এই লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক জোনে ফাইভ-জি সংযোগ প্রদানের জন্য বিটিসিএল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে মন্ত্রী জানান। দেশের প্রথম ডিজিটাল বার্তা সংস্থা আবাস এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক জনাব মোস্তাফা জব্বার ফাইভ-জি প্রযুক্তিসহ যে কোন নতুন প্রযুক্তির সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ও এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে টিআরএনবিসহ সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জনান।শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক জনাব মোস্তাফা জব্বার ডিজিটার ডিভাইস ফাইভজির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে বলেন, দেশে এখন ফাইভজি মোবাইল সেট উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৯০ভাগ স্মার্ট ফোন বাংলাদেশ উৎপাদনে সক্ষম বলে তিনি জানান। তিনি এটিও বলেন যে শিল্পোন্নত দেশগুলো ৫৪জি, নতুন প্রযুক্তি বা ৪র্থ শিল্পবিপ্লব যেভাবে বাস্তবায়ন করবে আমরা সেটি হুবহু নকল করবোনা। আমরা আমাদের মতো করে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবো।

অনুষ্ঠানে বক্তারা ফাইভ-জির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন এবং তরঙ্গসহ ফাইভ-জি অবকাঠামো গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির প্রশংসা করেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন