English

37 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ শিগগিরই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। রংপুর ও নোয়াখালীর ঘটনায় গ্রেফতাররা ইন্ধনদাতাদের নাম জানিয়েছেন। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তারা এসব নাম জানিয়েছেন। তবে আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তাদের নাম আপনাদের সামনে প্রকাশ করব। সেখানে বিএনপি-জামায়াত আছে কি না, সেটা এখনই বলতে চাচ্ছি না। আমরা নিশ্চিত হয়েই আপনাদের জানাতে চাই। গ্রেফতারদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে, শিগগিরই সেই ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ করা হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
এসময় সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, শাহজাহান মোল্লা, হাসিফ মাহমুদ শাহ ও শাহাদাত হোসেন রাকিব উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‌‘আমরা শুরুতেই ধরে নিয়েছিলাম, কোরআন শরিফ রেখে দেওয়া… কোনো এক জায়গা থেকে এসেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম, আমাদের পুলিশের সব পর্যায়ের টিম সেখানে পাঠিয়েছিলাম, যাতে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন হয়। আমরা দেখলাম, একটা মসজিদের পাশে একটা পুকুর ছিল, পুকুরে মাছ চাষ হতো, পুকুরের মাছচাষি মসজিদের বারান্দায় একটা ক্যামেরা বসিয়েছেন, যেখানে পরিষ্কার দেখা গেছে, কেউ মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে হনুমানের গদার স্থানে রেখে গদা নিয়ে বেরিয়ে চলে এলেন।’
তিনি বলেন, ‘যখন এ ঘটনা সামনে চলে এলো তখন তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি, তার নাম প্রকাশ করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার সহিংসতায় ১০টি মামলা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
‘আমাদের ধারণা ছিল, জুমার নামাজের পর অসুবিধা হতে পারে। আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বলেছিলাম, তার আগেই প্রতিমা বিসর্জন দেবেন এবং তারা তা করেছেন। আমাদের নামাজও ঠিকভাবে শেষ হলো। কিন্তু দুভাগে বিতর্ক শুরু হলো। একপক্ষ পুলিশের সামনে হল্লা শুরু করল। আরেকপক্ষ পুলিশকে ব্যস্ত রেখে ধ্বংসযজ্ঞ চালাল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনল। সেখানে বেশকিছু ভাঙচুর হয়েছে। ওই সময় পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ায় একজন মারা যায়।’
‘এ সহিংসতা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য করেছে একটি মহল। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, এতে অনেকের নাম জানা গেছে। শিগগির কারা এসব ঘটিয়েছে তা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে’,- বলেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন